সিংহশিকারী সাহাবী হামজা রাঃ এর বীরত্বের ইতিহাস _ হামজা রাঃ এর জীবনী

 সিংহশিকারী সাহাবী হামজা রাঃ এর বীরত্বের ইতিহাস _ হামজা রাঃ এর জীবনী


সিংহশিকারী সাহাবী হামজা


watch video


মক্কার মরুপথ ধরে আরবের তেজি ঘোড়ার চড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এক মধ্যবয়সী পুরুষ শিকার থেকে বাড়ি ফিরছেন তিনি, পথে কারো সাথে দেখা হলেই সম্মানের সাথে কৌশল বিনিময় করছেন পবিত্র কাবার তত্ত্বাবধায়ক প্রয়াত আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র ছিলেন তিনি, তাই সবার কাছেই ছিলেন সম্মানের পাত্র শিকারের বিনিদ্র রজনী পার করে এলেও আরহির চেহারায় কোনো ক্লান্তির ছাপ ছিল না তিনি ছিলেন মাঝারি গরমের সুঠাম দেহের অধিকারী একজন পুরুষ।


আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র যখন ঘরের আঙিনায় পৌঁছেন পরিবারের মেয়েরা এসে তার কাছে অভিযোগ জানায়, তারা বলে আপনার ভাতিজা মুহাম্মদকে অকথ্য ভাষায় অপমান করেছে আবুল হাকাম ওরফে আবু জাহেল সে তাকে এতটাই অপমান করেছে যে আপনার ভাতিজা লজ্জায় কোন কথাই বলতে পারেনি শুধু তাই নয়- নতুন ধর্ম প্রচার বন্ধ না করলে সে তার মাথা ফাটিয়ে দেবে বলে হুমকিও দিয়ে গেছে। ভাতিজার এমন অপমানের কথা শুনে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র রাগে কাঁপতে শুরু করেন তিনি তখনও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি কিন্তু ভাতিজা মোহাম্মদের প্রতি তার ছিল অপার ভালোবাসা

আর তার প্রচারিত ধর্মের প্রতিও ছিল খানিকটা দুর্বলতা।


তিনি ভাতিজার এমন অপমান যেন তার মাথায় আগুন ধরিয়ে দেয় তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন না পোশাকটাও পাল্টালেন না এমনকি ক্লান্ত শ্রান্ত ঘোড়াকে এতটুকু বিশ্রামও দিলেন না তিনি তৎক্ষণাৎ রওনা হয়ে গেলেন বাসন্ড আবু জাহেলের খোঁজে, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র যখন আবু জাহেলের দেখা পান তিনি কোন কথা না বলেই ঘোড়া থেকে নেমে আসেন আবু জাহেলের সঙ্গী ছিল তারই পুত্র ইকরামা আর ওমর ইবনে খাত্তাব উদবা ইবনে রাবিয়ার মত নেত্রস্থানীয় ব্যক্তিরা তারা কেউই তখনও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি। 


অন্যরা আব্দুল মুত্তালিবের পুত্রকে দেখে তাকে স্বাগত জানায় কিন্তু আবু জাহেল বুঝতে পারছিল তার কপালে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র ধীরে ধীরে আবু জাহেলের কাছে এগিয়ে যান আর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শরীরের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে তার থুতনিতে আঘাত করেন প্রচন্ড আঘাতে আবু জাহেলের মুখ ফেটে যায় আর রক্ত বের হতে থাকে অতঃপর আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র বলেন তোমার কত বড় কলিজা আমার ভাতিজা কে অপমান করেছ যেখানে আমি আমির হামজা নিজে তার অভিভাবক এটা কি তুমি এই জন্য করেছো যে আমিও তোমাদের মত পত্যলির ধর্ম অনুসরণ করি।


সিংহশিকারী সাহাবী হামজা

তাহলে কান খুলে শুনে রাখো আমিও আজ থেকে আমার ভাতিজার ধর্ম পালনের ঘোষণা দিলাম আমি দেখতে চাই তুমি কিভাবে তার প্রতি এতটুকু অনাচার করো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসলামের ছায়াতলে আগমন ঘটে এক সিংহ পুরুষের একাকী মরুর বুকে সিংহ স্বীকার করে বেড়ানো ছিল যার নেশা,

যিনি ছিলেন সাহসে অতুলনীয় শক্তিতে অদ্বিতীয় আর কোরায়েশদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত তার নাম ছিল আমির হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু। 


তিনি কখনো তার ভাতিজা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম কে একা ছেড়ে যাননি না তার ধর্ম গ্রহণের আগে না তার ধর্ম গ্রহণের পরে ইসলাম গ্রহণের আগে, একদিন তিনি তার ভাই আবু তালেব ও আব্বাসের সাথে বাড়ির আঙ্গিনায় হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন তিনি দেখতে পান তারই অপর ভাই আবু লাহাব ঝুড়িতে করে খাসির নারী ভুড়ি বয়ে এনেছে আর সেগুলো ঢেলে দিয়েছে বাতিজা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ঘরের দুয়ারে এই দৃশ্য দেখে আমির হামজা হতবাক হয়ে পড়েন আর বলেন

তুমি একি করলে আবু লাহাব চাচা হয়ে তুমি কেন তাকে এত কষ্ট দাও, আবু লাহাব বলে সে আমাদের পূর্বপুরুষদের ধর্মকে মিথ্যা বলেছে আর আমাদের বংশের সম্মানকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।


আমির হামজা বলেন আমাদের ভাইদের মধ্যে কেউই ভাতিজার প্রচারিত ধর্ম গ্রহণ করেনি তাই বলে আমরা তাকে কষ্টও দেই না বরং অন্যগোত্রের কেউ তাকে কষ্ট দিতে এলে আমরা তাকে আগলে রাখি কিন্তু আমাদের ভাইদের মধ্যে কেবল তুমিই তাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছো। আমাদের পিতা আব্দুল মোত্তালেব যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে নিশ্চয়ই তোমার এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ভীষণ লজ্জিত হতেন

তার এমন কথা শুনে আবু লাহাব চলে যাচ্ছিল কিন্তু আমির হামজা তাকে পিছু ডাকেন আর কঠোর ভাষায় বলেন যে নিকৃষ্ট বস্তু তুমি ভাতিজার দুয়ারে ফেলেছো সেগুলো নিজ হাতে পরিষ্কার করে তুলে নিয়ে যাও। 


হামজা যদিও বয়সে ছোট ছিলেন তথাপি তার কঠোরতার ব্যাপারে ভীত ছিল আবু লাহাব সে বাধ্য হয়ে নিজের ফেলা নারীভুড়ি নিজেই পরিষ্কার করে নিয়ে যায় আর এভাবেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে থেকেই আল্লাহর নবীকে আশ্রয় দিয়ে এসেছেন আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ভাতিজার কাছে তিনি ছিলেন এক বটবৃক্ষের মতো যে বৃক্ষ অবিরাম ছায়া দিয়ে যায় আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছিলেন অসীম সাহসী এক সুপুরুষ শিকার ছিল তার নেশা সিংহ শিকারের উদ্দেশ্যে

তিনি নিজের তেজি ঘোড়ার সাথে নিয়ে একাকী চলে যেতেন মরুভূমিতে।


হিংস্র প্রাণীর শিকারে তিনি যতটা দক্ষ ছিলেন ঠিক ততটাই দক্ষ ছিলেন যুদ্ধের ময়দানে প্রকৃতি প্রদত্ত সাহস আর শক্তির সাথে যখন যুক্ত হয় ঈমানী জজবা তখন আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হয়ে ওঠেন এক ভয়ানক যোদ্ধা। খাত্তাবের পুত্র ওমর যেদিন উন্মুক্ত তলোয়ার হাতে নিয়ে আল্লাহর নবীর দরজায় এসে কড়া নাড়ছিল নবীর সঙ্গীরা সেদিন ভয়ে আঁতকে উঠেছিল কেননা ওমরের হাতে ছিল খোলা তরবারি আর সে ছিল খুবই কঠোর প্রকৃতির মানুষ সেদিন আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুই কেবল বলেছিলেন দরজা খুলে দাও আর খাত্তাবের পুত্রকে ভেতরে আসতে দাও সে যদি কোন মন্দ নিয়ত নিয়ে এখানে এসে থাকে তাহলে আমি তার তরবারি দিয়েই তাকে হত্যা করব।


সিংহশিকারী সাহাবী হামজা

আবশ্য ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সেদিন এসেছিলেন নিজেকে আল্লাহর নবীর পায়ে সমর্পণ করার উদ্দেশ্যে,  আমির হামজাকে মোকাবেলা করবে এমন কোন যোদ্ধা কোরায়াশদের মধ্যে ছিল না তার অতুলনীয় বীরত্বের সাক্ষী বদরের প্রান্তর সেখানে প্রথম কোরায়েশ আসওয়াদের মৃত্যু হয় হামজাবিন আব্দুল মুত্তালিবের হাতে খ্যাপাটে আসওয়াদ গিয়েছিল মুসলিম বাহিনীর দখলে থাকা জলাধার থেকে পানি নিয়ে আসতে, আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তলোয়ারের কোপে তার ভবলীলা সাঙ্গ করে দেন অতঃপর যখন যুদ্ধ শুরু হয় দৈত্য যুদ্ধের আবহাওয়া নিয়ে এগিয়ে আসে কোরায়াশপুত্র প্রতি উদবা ইবনে রাবিয়া তার সঙ্গী ছিল তারই পুত্র ওয়ালিদ আর তার ভাই শাহিবা

তিনজন আনসার সাহাবী তাদেরকে মোকাবেলা করতে এগিয়ে গেলে উদবা অহংকার করে বলে আমরা তোমাদের মত দুর্বল যুদ্ধ নয় বরং সমকক্ষ প্রতিপক্ষ চাই। 


অতঃপর নিজের ভাতিজা আলি ইবনে আবু তালেব ও ওবায়দা ইবনে হারিফ নামে অপর এক তরুণ নিয়ে এগিয়ে যান সিংহ শিকারি আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, তাদের মোকাবেলায় ক্ষণকালের জন্য টিকতে পারে না উদবা ইবনে রাবিয়া ও তার সঙ্গীরা তিনি নিজ হাতে হত্যা করেন উদবা ইবনে রাবিয়াকে কে বুঝিয়ে দেন শত্রু শিবিরে হামজার সম কক্ষ কোন যুদ্ধ নেই,

খুব অল্প সময়ের যুদ্ধে বদরের প্রান্তরে আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হত্যা করেন ৮ জন কুরায়েশকে টগবগে তারুণ্যে উত্তেপিত ভাতিজা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সাথে পাল্লা দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়ান প্রায় ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আমির হামজা। 


বদরে নিহত ৭০ জন কুরাইসের মধ্যে এই চাচা ভাতিজা জুটির হাতেই প্রাণ হারায় ২৬ জন। নবী পরিবারের অতুলনীয় বীরত্বের সাক্ষী হয় বদরের প্রান্তর আর উজ্জীবিত মুসলিম ফৌজির আহদুল আহাদ চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে সেই ময়দান। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে আরবদের কাছে হযরত আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছিলেন এক অভিসংবাদিত বীর, বদর ছাড়াও বেশ কিছু ছোট ছোট যুদ্ধ আর অভিযানে নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে তবে ইসলামের বিজয় যাত্রায় খুব বেশি ভূমিকা রাখার সৌভাগ্য হয়নি এই সিংহ পুরুষের বরং হিজরী তৃতীয় বর্ষে উহুদের যুদ্ধে কাপুরুষের মত কৌশল করে পেছন থেকে আঘাত করে হত্যা করা হয় তাকে।


মহৎ ছিল বদরের মাত্র এক বছর পরের ঘটনা মক্কার কোরায়েশ আর মদিনার মুসলিমদের মধ্যে সংঘটিত বৃহত্তর পরিসরের দ্বিতীয় যুদ্ধ ছিল এই ওহুদ আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর বয়স তখন ৬০ বছর ছুঁইছুে কিন্তু বয়সের ভার তাকে এতটুকু নজর করতে পারেনি যুদ্ধের ময়দানে তিনি ছিলেন আগের মতই ক্ষিপ্র আর বেপরোয়া ওহুদের ময়দানে মাত্র ৭০০ মুজাহিদের বিপরীতে ছিল ৩০০০ কাফের সেনা বদরের ন্যায় উহুদের শুরুতেও দৈত্য যুদ্ধে একজনকে হত্যা করেন হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু পরে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হলে। 


একে একে আরো ২ অবিশ্বাসীকে হত্যা করেন তিনি, তিনি যুদ্ধ করছিলেন বাহিনীর বাম প্রান্তে থেকে অতঃপর তার দৃষ্টিজায় সাবাবিন আবু উজ্জা নামে এক অবিশ্বাসীর দিকে যার মা ছিল পেশায় একজন খতনাকারিনী আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে ক্ষিপ্ত করে তুলতে বলেন ওহে খত্নাকারিনির পুত্র এসো আমার সাথে লড়াই করো আমির হামজার এই তিরস্কার মূলক কথা শুনে সাবার মুখ রক্ত বর্ণ ধারণ করে সে তরবারি তুলে হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর দিকে এগিয়ে যায় হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ও সাবার মধ্যে যখন দৈত্য লড়াই চলছে।


তখন সবার অলক্ষে ঝোপের আড়াল থেকে বের হয়ে আসে এক হাবশিকৃত দাস সে ছিল দীর্ঘকায় আর বর্বর প্রকৃতির সে সর্বদা বহন করে বেড়াতো তার মাতৃভূমি আবিষ্কার থেকে নিয়ে আসা এক বর্ষা যার অগ্রভাগ ছিল তলোয়ারের চেয়ে সূক্ষ্ম তার দৃষ্টি ছিল বাজপাখির মত তীক্ষ্ণ আর বর্ষা নিক্ষেপ এর হাত ছিল আবেদন যুদ্ধে তার অন্য কোন ভূমিকা ছিলনা বরং সে এসেছিল কেবল মুসলিম ফৌজের সিংহ

আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে হত্যা করার মিশন নিয়ে ঝোপের আড়াল থেকে বের হয়ে সে আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর পেছন দিকে অগ্রসর হয় লক্ষ বস্তু বর্ষার আওতায় আসার পর অভিজ্ঞ দৃষ্টি দিয়ে সে দূরত্ব মেপে নেয় অতঃপর প্রবল গতি সঞ্চার করে সে নিক্ষেপ করে তার ধারালো বর্ষা বায়ু ভেদ করে সাড়া শব্দ তুলে তা ছুটে যায় লক্ষ বস্তুর দিকে আর এক মুহূর্ত পরে বৃদ্ধ করে আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে ধারালো বর্ষার ফলা বের হয়ে আসে অপরপাশ দিয়ে.


আঘাত পাওয়ার সাথে সাথে আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্বর লোকটির দিকে ঘুরে দাঁড়ান আর অস্ত্র তুলে তার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন আহত সিংহের চোখের দৃষ্টি দেখে

কলিজা কেঁপে ওঠে বর্বর সেই কৃতদাসের কিন্তু আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেন না তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আর এভাবেই শাহাদাতের অমিও সুধাপান করেন সম্মুখযুদ্ধে অপরাজিয় যোদ্ধা জান্নাতের সিংহ আসাদ আল জান্নাহ শহীদদের সর্দার মাস্টার অফ মর্ডার্স এখানেই শেষ হতে পারত নবীজির প্রিয় চাচা মুসলিম ফৌজের অন্যতম সেনাপতি আমির হামজার শাহাদাতের গল্প কিন্তু সেই গল্পকে ১ করুণ উপাখ্যানের রূপ দেয় এক ভয়ানক নারী

সে ছিল উদবা ইবনে রাবিয়ার কন্যা। 


যে উদবা বদরের যুদ্ধে আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর হাতে প্রাণ দিয়েছিল

ঊহুদের যুদ্ধ শেষে পিতৃ হত্যার শোধ নিতে ময়দানে পড়ে থাকা নিথর আমির হামজার কাছে এগিয়ে যায় সেই নারী হামজার কাছে পৌঁছে সে হাতে ছোড়া তুলে নেয় আর বুক চিরে বের করে আনে আমির হামজার কলিজা অতঃপর সেই কলিজা চিবিয়ে নিজের বিষাক্ত আত্মাকে তৃপ্ত করে ওই পিশাচ শুধু তাই নয় আমির হামজার নাককান সহ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে তার চেহারা বিকৃত করে ফেলে বিকারগ্রস্ত ওই মহিলা। 

প্রিয় চাচার এমন মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের পর ভাতিজা আব্দুল্লাহ ইবনে জাহসের সাথে একি কবরে সমাহিত হন আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু আল্লার নবী বলেছিলেন আমি দেখেছি ফেরেশতারা হামজাকে গোসল করাচ্ছে কারণ তিনি রয়েছেন জান্নাতে নবী কন্যা ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তালা আনহা মাঝে মাঝেই প্রিয় দাদা আমির হামজার কবর জিয়ারত করতে সেখানে যেতেন আবু তালেবের মৃত্যুর পর তিনিই ছিলেন নবী পরিবারের মাথার উপর সবচেয়ে বড় ছায়া। 


পৃয় পাঠক

আমির হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে হত্যাকারী হাত স্বীকৃত দাস ও তার লাশ বিক্রি তোকারী ওই নারী তারা উভয়েই পরবর্তী জীবনে আল্লাহর নবীর উপর ঈমান এনেছিলেন এবং ইসলামের বিস্তারে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন ইতিহাসের ভয়ানক এই দুজন ব্যক্তি কে ছিলেন কেন তারা ইসলামের বিরোধিতা করতেন হামজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কেই বা কেন তারা টার্গেট করে হত্যা করেছিলেন আর পরবর্তীতে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় তাদের ভূমিকাই বা কি ছিল।


এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব পরবর্তী কোন ভিডিওতে নিয়মিত আপডেট পেতে আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেলে এবং ক্লিক করুন পাশে থাকা বেল আইকনে আর আজকের পর্বটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করে ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ রইলো আল্লাহ হাফেজ।

 

Post a Comment

0 Comments