কেয়ামতের আগে মুসলিমদের বিপর্যয় কেন অনিবার্য? যেসব নিদর্শন মুসলিমদের বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ।
কেয়ামতের আগে মুসলিমদের বিপর্যয় কেন অনিবার্য? যেসব নিদর্শন মুসলিমদের বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ।
আজকে আমরা এমন কিছু নিদর্শন জানাবো যেগুলো কোন বিশেষ ব্যক্তি সম্প্রদায় কিংবা ভূখণ্ডের মাঝে সীমাবদ্ধ নয় বরং যেগুলো মানব সভ্যতা ও মুসলিম উম্মার ধারাবাহিক বিপর্যয়ের সাক্ষী কিভাবে মানব সভ্যতার সমৃদ্ধি ও পূর্ণতার শিখর থেকে ধীরে ধীরে ভাঙ্গন ও পতনের তলানিতে তলিয়ে যাবে মুসলিম উম্মাহ কিভাবে বিশুদ্ধতা ও পূর্ণতার শিখর থেকে ফেতনা ফাসাদের পঙ্কিলতায় ডুবে যাবে সেই দুঃখজনক বাস্তবতার চিত্রায়ন ফলে এগুলো আজ থেকে নয় বহু শতাব্দী আগে থেকেই চালু হয়েছে আজও চলছে সময়ের বিবর্তনে ভবিষ্যতে এগুলোর ভয়াবহতা আরো বাড়বে কেয়ামতের যেসব নিদর্শন মুসলিমদের বিপর্যয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো হলো এক সর্বগ্রাসী ফিতনার ছড়াছড়ি দুই ফিতনার উৎস ও শয়তানের সিং তিন ফিতনা থেকে দূরে থাকতে নবীজির কঠোর নির্দেশনা চার সামাজিক ও রাজনৈতিক ফিতনা সমূহ পাঁচ অর্থনৈতিক ফিতনা সমূহ ছয় ধর্মীয় ফিতনা সমূহ সাত প্রাকৃতিক ফিতনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমন ও প্রস্থান কেয়ামতের অন্যতম আলামত একাধিক বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা বিষয়টি প্রমাণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি এমন সময় প্রেরিত হয়েছি যখন আমার মাঝে আর কিয়ামতের মাঝে এটুকু ব্যবধান রয়েছে।
একথা বলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুল একত্র করে দেখান সহি বুখারী হাদিস নং 6505 অর্থাৎ দুই আঙ্গুলের মত কাছাকাছি সময় বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি ও কিয়ামত একসঙ্গে প্রেরিত হয়েছি মনে হচ্ছিল আমার আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই কেয়ামত হয়ে যাবে মুসনাদে আহমদ হাদিস নং 23413 ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমি কেয়ামতের আগ মুহূর্তে প্রেরিত হয়েছি মুসনাদে আহমদ হাদিস নং 5210 আউফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিয়ামতের আগে ছয়টি বিষয় গণনা করো এক আমার ইন্তেকাল দুই বায়তুল মাকদিস বিজয় তিন এক মারাত্মক মহামারী যা তোমাদের ছাগলের পালের মত বিলুপ্ত করে দেবে চার সম্পদের সমৃদ্ধি ফলে কোন ব্যক্তিকে তখন 100 দিনার দেওয়া হলেও সে খুশি হবে না পাঁচ এক ভয়ঙ্কর ফেতনা আরবদের কোন ঘর যার বাইরে থাকবে না ছয় এক সন্ধি যা তোমাদের ও রোমানদের মাঝে সংগঠিত হবে কিন্তু তারা তোমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে 80 টি পতাকাতলে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বের হবে প্রত্যেক পতাকার নিচে থাকবে 12000 সৈন্য সহি বুখারী হাদিস নং 3176
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকাল কিয়ামতের নিদর্শন কারণ এর মধ্য দিয়ে আকাশের সঙ্গে মাটির সরাসরি সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন হয়ে যাবে ওহীর দরজা বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবী তার সার্থক সময় পার করে ফেলেছে এখন শুধু কেয়ামতের অপেক্ষা এজন্যই সাহাবীগণ নবী পাক ইন্তেকালের পর বলেছিলেন তিনি যেদিন মদিনায় এসেছিলেন সেদিন সবকিছু আলোকিত হয়ে উঠেছিল আর যেদিন তিনি চলে গেলেন সেদিন সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল আমরা তাকে দাফন করে হাত ঝাড়তে না ঝাড়তেই নিজেদেরকে অচেনা মনে হতে লাগলো তিরমিজি হাদিস নং 3618 কারণ তার অস্তিত্বের সৌরভে সুরভিত পৃথিবী আর তিনি হীনা পৃথিবী কখনোই সমান নয় তার ইন্তেকাল মুসলিমদের কোমর ভেঙে দিয়েছে অসহায় করে ফেলেছে তাদের নানা সংকট ও মুসিবতে জড়িয়ে ফেলেছে স্বয়ং নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটা জানিয়ে গিয়েছেন এক রাতে তিনি সাহাবীদের সামনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন তারকারা হলো আকাশের সুরক্ষা যখন তারকা গুলো থাকবে না তখন আকাশ ধ্বংস হয়ে যাবে তেমনি আমি আমার সাহাবীদের জন্য সুরক্ষা যখন আমি চলে যাব আমার সাহাবীরা বিপদে আক্রান্ত হবে সহি মুসলিম হাদিস নং 2531 আর হয়েছেও তাই নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চলে যাওয়ার পর থেকেই মুসলিম উম্মাহ এতিম হয়ে গেছে ধীরে ধীরে নানা ফেতনার মাঝে ডুবে গিয়েছে আজ প্রায় দেড় হাজার বছর পরেও মুসলিম উম্মাহ প্রতিটি ক্ষণে তার শূন্যতা অনুভব করছে তিনি না থাকায় নানা সংকটে জর্জরিত রয়েছে বরং তিনি না থাকার চেয়ে মুসলিম উম্মার বড় বিপদ আর নেই
তিনি নিজেও সেই বাস্তবতা এভাবে বলে গিয়েছেন আমার উম্মতের কেউ আমাকে হারানোর চেয়ে বড় কোন মুসিবতে আক্রান্ত হবে না ইবনে মাজা হাদিস নং 1599 বিভিন্ন হাদিসের আলোকে বোঝা যায় কেয়ামত অত্যন্ত সন্নিকটে বরং কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেই কেয়ামতকে কাছাকাছি বলা হয়েছে আল্লাহতালা বলেন কেয়ামত অত্যাসন্ন চাঁদ বিদীর্ণ হয়ে গেছে সূরা কামার আয়াত এক আল্লাহতালা আরো বলেন মানুষের হিসাব কাছাকাছি এসে গেছে অথচ তারা উদাসীন বিমুখ হয়ে আছে সূরা আম্বিয়া আয়াত এক প্রশ্ন হতে পারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আগমন ও কিয়ামতকে হাতের দুই আঙ্গুলের মত কাছাকাছি বলেছেন কিন্তু আজ প্রায় দেড় হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে অথচ এখনো কেয়ামত এলো না তাহলে কি তিনি ভুল বলেছেন কোন কোন ব্যক্তি এমন সংশয়ই পড়েছেন অথচ এটা নবীজির বক্তব্য না বোঝারই ফল সালাফে সালেহীনের আদর্শের আলোকে কোরআন সুন্নাহ গ্রহণ না করার পরিণতি কয়েকভাবে এটা স্পষ্ট করা যায় কাছাকাছি বলে দুই আঙ্গুল মিলিত করে দেখানোর উদ্দেশ্য হলো তিনি শেষ নবী এবং তার উম্মতের মাঝেই কেয়ামত সংগঠিত হওয়ার কথা বলা অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলের মাঝে যেমন অন্য কোন আঙ্গুল নেই একইভাবে তার মাঝে ও কিয়ামতের মাঝে আর কোন নবী আসবে না অন্য নবীরাও নিশ্চিতভাবেই জানতেন তাদের উম্মতের মাঝে কিয়ামত হবে না কারণ শেষ নবী তখনো আসেননি
বিপরীতে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী তারপরে পৃথিবী কোন নতুন নবী কিংবা নতুন উম্মত আসবে না সুতরাং পৃথিবীর সময় যে শেষ হয়ে আসছে কেয়ামতে যে ঘনিয়ে আসছে সেটা একদম সুস্পষ্ট আরেকটা হাদিসে এসেছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি কেয়ামতের মৃদুমন্ধ বায়ু প্রবাহের মাঝে প্রেরিত হয়েছি আরবিতে নাসাম বলা হয় বাতাসের প্রথম প্রবাহকে সেই হিসেবে ওই হাদিসের অর্থ হলো বাতাসের প্রবাহের মত কেয়ামতের গুলো প্রকাশের একেবারে শুরুতে আমি প্রেরিত হয়েছি অন্য কথায় তার আগমন কেয়ামতের নিদর্শন সমূহের সমাপ্তি নয় বরং সূচনা ফলে অন্যান্য নিদর্শন প্রকাশ পাওয়ার পরেই কেয়ামত আসবে তার আগমনের কয়েক বছরের মাঝেই কেয়ামত হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয় যদি আক্ষরিক অর্থ গ্রহণ করা হয় অর্থাৎ নবীজির আগমন ও কেয়ামতকে হাতের দুই আঙ্গুলের মত কাছাকাছি মনে করা হয় তবু হাদিসের অর্থ বিশুদ্ধ কারণ কাছাকাছি বিষয়টা আপেক্ষিক ঢাকা থেকে টেকনাফের দূরত্ব অনেক বেশি অথচ ঢাকা থেকে মক্কা মোকাররমার দূরত্বের তুলনায় টেকনাফ অত্যন্ত কাছাকাছি একইভাবে নবীজির আগমনের পরে যদিও দেড় হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে এবং আরো হয়তো শত শত বছর যাবে কিন্তু তাতে কাছাকাছি হওয়ার বক্তব্য লঙ্ঘিত হবে না কারণ পৃথিবীর বয়সের তুলনায় কয়েক হাজার বছর কিছুই নয় এটা নবীজির একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমরা একদিন আসরের নামাজের পরে নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসা ছিলাম সূর্য তখন কুয়াইকিয়ান পাহাড়ের ওপর ছিল তিনি বললেন অন্যান্য উম্মতের তুলনায় তোমাদের জীবনকাল হলো পুরো দিনের তুলনায় অবশিষ্ট সময়ের মত মুসনাদে আহমদ হাদিস নং 6074 অন্যান্য একাধিক বর্ণনায় এসেছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন পূর্ববর্তী উম্মতগুলোর তুলনায় এ উম্মতের সময় হচ্ছে আসর ও মাগরিবের মাঝামাঝি সময়ের মত সুবহানাল্লাহ নবীজির এই বক্তব্য ইতিহাস ও বিজ্ঞান সবকিছুর আলোকে উত্তীর্ণ মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পৃথিবীতে মানুষের ইতিহাসের প্রাচীনত্ব বিবেচনায় নেওয়া হলে সেটা দেখা যাবে হাজার হাজার কিংবা লক্ষ লক্ষ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস কত প্রাচীন ও পুরানো যুগ কেটে গেছে কত শত শত জাতি এখানে এসেছে ও বিলুপ্ত হয়েছে কত সভ্যতার উত্থান ও পতন ঘটেছে এই পুরোটা সময় সূর্যোদয় থেকে আসর পর্যন্ত সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হলে আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টা শুধু দেড় হাজার বছরে কিছুই নয় ফলে কিয়ামত আসার পথে যে দীর্ঘ সেটা স্পষ্ট বোঝা যায় কেয়ামতের নিদর্শন গুলো ইলমুল গায়েব তথা গায়েবের জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত এটা সাধারণ গায়েবের জ্ঞান নয় বরং চূড়ান্ত গায়েবের জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস মায়ের গর্ভের সন্তান ইত্যাদিও
গায়েবের জ্ঞান তথাপি সেগুলো আপেক্ষিক বিভিন্ন উপায় উপকরণের মাধ্যমে সেগুলো জানা যায় বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ফলে অতীতের মানুষ মানুষ গর্ভের সন্তান কিংবা আগামীকালের আবহাওয়া সম্পর্কে না জানলেও আজকের মানুষ সেগুলো সহজেই জানতে পারছে জন্মের বহু আগেই সন্তান কেমন আছে ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে সবকিছু বলে দিতে পারছে কিয়ামতের নিদর্শন গুলো হলো চূড়ান্ত অদৃশ্য জ্ঞান ফলে কোন উপায় উপকরণ যন্ত্র কিংবা মেশিনের মাধ্যমে কিয়ামতের সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় কেয়ামত কখন ও কিভাবে হবে তা কিছুতেই বলা সম্ভব নয় পৃথিবীর শেষ পরিণতি কি হবে কোন কিছুর ব্যাপারে অনুমান করা সম্ভব নয় ঈসা আলাইহিস সালাম কখন পৃথিবীতে পুনরাগমন করবেন এটা বিজ্ঞান কিংবা যন্ত্র দিয়ে খুঁজে পাওয়ার বিষয় নয় দাজ্জাল কি সেটা সাইন্সের বিষয় নয় ইয়াজুজ মাজুজ কিংবা দাব্বাতুল আর্থ অনুবীক্ষণ কিংবা দুর্ভিক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজে ফেরার বিষয় নয় কারণ এগুলো এমনই গায়েবের জ্ঞান যার একমাত্র উৎস ওহী মোট কথা কিয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান চূড়ান্ত ও নিগুর গায়েবের জ্ঞান আল্লাহতালা ছাড়া অন্য কেউ এই জ্ঞানের অধিকারী নয় আল্লাহতালা ইরশাদ করেন গায়েবের চাবিকাঠি তারই কাছে তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না জল ও স্থলের সবকিছু সম্পর্কেই তিনি অবগত
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া একটা পাতাও পড়ে না মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণা অংকুরিত হয় না যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই সূরা আনআম আয়াত 59 তথাপি আল্লাহতালা মানুষের প্রতি অনুগ্রহপূর্বক নবী রাসূলগণকে কিয়ামত সম্পর্কে অনেক কিছু জানিয়েছেন ফলে পৃথিবীর সকল নবী রাসূল হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীর শেষ দিনগুলো সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য দিয়েছেন যা আজও মানুষকে বিস্ময় বিমূর করে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামত ও কিয়ামতের আলামত গুলো নিয়ে এতই বিস্তারে কথা বলেছেন যে সে সম্পর্কে আজ আমরা অনেক কিছুই জানতে পারছি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরো একটি দিন তিনি এগুলো নিয়ে কথা বলেছেন ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করে জান্নাতবাসীর জান্নাতে ও জাহান্নামবাসীর জাহান্নামে প্রবেশ পর্যন্ত কি হয়েছে এবং কি হবে সবকিছু আলোচনা করেছেন
অনেকে মনে রেখেছে অনেকে ভুলে গেছে সহি বুখারী আমর ইবনে আকতাব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন ফজরের নামাজ আদায় করে মিম্বরে আরোহণ করলেন যোহর পর্যন্ত তিনি আলোচনা করলেন যোহরের ওয়াক্ত হয়ে গেলে তিনি মিম্বর থেকে নেমে নামাজ আদায় করলেন নামাজের পরে আবার মিম্বরে উঠলেন আসর পর্যন্ত কথা বললেন আসরের সময় হলে মিম্বর থেকে নেমে নামাজ আদায় করলেন অথবা পর আবার মিম্বরে আরোহণ করলেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত আলোচনা করলেন সেদিন তিনি আমাদের অতীতে সংগঠিত ও ভবিষ্যতে ঘটিতব্য সবকিছু জানিয়েছেন যে সবচেয়ে বেশি মুখস্ত রাখতে পেরেছে সে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী হয়ে গেছে সহি মুসলিম হাদিস নং 2892'' আপনি কি এই লিখাটি রিরাইট করে দিতে পারেন?