সিরিয়ার বিজয় কি নতুন বিপদ ডেকে আনবে? তুরস্কের ভূমিকা কী?
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইতিহাসে এমন একদিন হিসেবে লেখা হবে, যেদিন পৃথিবীতে একটা সৈরশাসকের চরমভাবে পতন হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যতগুলো সৈরশাসক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বড় নামটি হচ্ছে বাশার আল আসাদ, হাফিজ আল আসাদ, যে পতনে সারা পৃথিবীকে সত্যিকার অর্থে নাড়িয়ে দিয়েছে যেখানে এটা দেখা গিয়েছে যে কতটা ভয়ঙ্কর শাসক ছিলেন বাশার আল আসাদ এবং তাকে কেন্দ্র করে সারা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে কি ধরনের ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছিল পৃথিবীর পরাশক্তি থেকে রিজোনাল পরাশক্তিগুলো।
ইসরাইল, তুর্কি, ইরান থেকে শুরু করে রাশিয়া, চায়না কিংবা ইউএসএ এমন কোন প্লেয়ার নেই যারা মধ্যপ্রাচ্যে এই মুহূর্তে সিরিয়াকে কেন্দ্র করে উপস্থিত ছিল না, এমন কোন গণহত্যা নেই যা সেখানে করা হয়নি এবং এমন কোন নেককারজনক ইতিহাস নেই যার সেখানে জন্ম দেওয়া হয়নিএই লিখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনার ধারণা বদলে যাবে এবং আপনার চুখ কপালে উঠে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়াকে নিয়ে আসলে কি গেম চলছিল এবং কেনই বা এই গেম কখনোই শেষ হওয়ার মতো নয় এবং আগামীর দিনগুলোতে সিরিয়ান মানুষের চেয়ে বেশি সুবিধা সেখানে আদায় করে নিবে মূলত তার প্রতিবেশী দেশগুলো।
কিন্তু কি ভাবে এমন হল? চলুন শুরু করা যাক সিরিয়া জুড়ে বাশার আল আসাদের পতনের ডিটেইলস জানার আগে আপনাকে কিছুটা ব্যাকগ্রাউন্ড ইতিহাস জেনে আসতে হবে, কেন এত বড় কনফ্লিক্টের জন্ম হয়েছিল তার পেছনের কারণগুলো কি আমরা ফিরে যেতে চাই অনেক আগে সেই ৯০ এর দশকে যখন সিরিয়াকে কেন্দ্র করে একটা আরব সিরিয়া গ্যাস পাইপলাইন তৈরি হয়েছিল সেখানে যে পাইপলাইন বাশার আল আসাদের বাবা হাফিজ আল আসাদ শুরু করেছে ছিলেন।
এবং বাশার আল
আসাদ এসে এটা শেষ
করতে পেরেছিলেন কিন্তু সেই পাইপলাইনে আজকের
দিন পর্যন্ত প্রায় ২৯ বার হামলা হয়েছে
এবং প্রত্যেকটা হামলা সফল হয়েছে প্রত্যেকবার
সেটাকে রিপেয়ার করা হয়েছে এবং
আজকের দিন পর্যন্ত এটাকে
সফল সচল রাখার জন্য
সবচেয়ে লড়াই করে যেতে হচ্ছে
সিরিয়াকে যে পাইপলাইনের মূল
টার্গেট ছিল সিরিয়া হয়ে
টার্কি এবং সেখান থেকে
ইউরোপ।
তারও
পরে যদি ২০০৬ সালের দিকে এসে তাকান
তাহলে খুঁজে পাবেন কাতার এবং টার্কি মিলে
একটা গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করার প্ল্যান
করেছিল সেটাও সিরিয়ার উপর দিয়ে, যাকে
বলা হয়েছিল কাতার টার্কিস গ্যাস পাইপলাইন, যে
পাইপলাইনের মূল টার্গেট ছিল
কাতার থেকে সমগ্র গল্ফ
কোয়ালিশন সবগুলো তেল এবং গ্যাস
সৌদি আরব জর্ডান এবং
সিরিয়া হয়ে চলে যাবে
টার্কিতে এবং সেখান থেকে
মূল গন্তব্য থাকতো মূলত ইউরোপ, যে
পাইপলাইনে সরাসরি ইনভেস্ট করতে রাজি ছিল
পুরো গল্ফ কোয়ালিশন, ইউরোপী
ইউনিয়ন এবং টার্কি, কিন্তু গ্লোবাল পাওয়ার হাউস গুলোর চাপাচাপিতে
সেই পাইপলাইন শেষ পর্যন্ত কাজ
পর্যন্ত শুরু করা যায়নি
এবং আজকের দিন পর্যন্ত এটা
এভাবেই পড়ে আছে প্রস্তাবিত
অবস্থায়
২০০৯ সালের দিকে এসে যদি তাকান সেখানে আরো এক একটা গ্যাস পাইপলাইনের প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল এবং সেই পাইপলাইনটা ছিল ইরান থেকে শুরু করে ইরাকের উপর দিয়ে সিরিয়া হয়ে মেডিটোরিয়ান সি পর্যন্ত চলে যাবে এবং সেখানে সুবিধা পাবে মূলত সবচেয়ে বেশি অংশে লেবানন। লেবাননের বাইরে ইরানি সেই গ্যাস পাইপলাইনের সরাসরি প্রস্তাব ছিল মূলত মেডিটোরিয়ান সি হয়ে ইউরোপে এবং যেখানে ইনভেস্টের জন্য ইউরোপি ইউনিয়ন কখনোই এগিয়ে আসেনি মূলত এটা ইরানের প্ল্যান ছিল যেটা ভেস্তে গেছে প্রায় কাছাকাছি সময়ে ইরাক এবং ইরানের উদ্যোগে আরো একটা গ্যাস পাইপলাইনের প্রস্তাব করা হয় যেটা ছিল মূলত ইরাক থেকে শুরু করে সিরিয়া হয়ে মেডিটেরিয়ানস এর বড় দেশ দিয়ে সেটা চলে যেত ইউরোপে এবং সেই গ্যাস পাইপলাইনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকেও বড় ধরনের ইনভেস্টের সম্ভাবনা ছিল
আনফরচুনেটলি সেটার কোন কাজও আজকের দিন পর্যন্ত করা সম্ভব হয়নি সব মিলিয়ে চারটা পাইপলাইনকে যদি আলাদা আলাদা করে তাকান তাহলে দুটো পাইপলাইনের পেছনে ইনভেস্ট করার জন্য রাজি ছিল ইউরোপি ইউনিয়ন টার্কি এবং গল্ফ কোয়ালিশ, যে দুটো গ্যাস পাইপলাইনের মূল ট্রান্জিশনাল হাব হওয়ার কথা ছিল টার্কিতে অপরদিকে ইরাক এবং ইরানের প্রস্তাবিত দুটো গ্যাস পাইপলাইনের ট্রান্জিশনাল হাব হওয়ার কথা ছিল সিরিয়াতে। এবার যদি আপনি দৃশ্যটা ভালোভাবে তাকান তাহলে খুঁজে পাবেন টার্কি গালফ কোয়ালিশন ,এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে গ্যাস পাইপলাইন এটা প্রো ইস্টার্ন গ্যাস পাইপলাইন ছিল। ঠিক অপরদিকে ইরাক সিরিয়া এবং ইরান সমর্থিত যে গ্যাস পাইপলাইন ছিল সেটা ছিল মূলত গ্লোবাল সাউথের সমর্থনে, আল্টিমেটলি সেখানে রাশিয়া এবং চায়নার সমর্থন ছিল, প্রেসিডেন্ট বাশার আল হাসার দীর্ঘ বিবেচনায় তিনি ট্রান্জিশনাল হাব হিসেবে তৈরি হতে যাওয়া তার দেশের পাইপলাইন দুটোকে তিনি প্রস্তাবনায় নিয়েছিলেন মূলত ইরাক এবং ইরানের পাইপলাইন দুটোকে তিনি গ্রহণ করেছিলেন এবং বাকি দুটো প্রস্তাব কে ইনডিরেক্টলি ডিনাই করেছিলেন।
যার ফলাফল ২০০৯ সালে
অস্থিরতার শুরু ২০১০ সালে আরব স্প্রিং
এবং ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধের শুরু, ২০০৯ পর্যন্ত যখন এতসব কর্মযজ্ঞ
এখানে চলছিল তখন পর্যন্ত সিরিয়া
মূলত স্টেবল কান্ট্রি ছিল এবং ২০১০ সালে
এসে এখানে শুরু হয়ে যায়
আরব স্প্রিং যে আরব স্পিনিং
শুরু হতে না হতে
সেখানে এটার রূপ নেয় ২০১১ সালের সিরিয়ান সিভিল ওয়ারে, সেই সিভিল ওয়ারের
শুরু থেকে জন্ম নেয়
মূলত ফ্রি সিরিয়ান আর্মি
বা আজকের দিনের সবচেয়ে বড় রিপেল গ্রুপ।
যেটা
মূলত সিরিয়াকে বাশার আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে
গত ১৪ বছর ধরে যুদ্ধ
করে যেতে হচ্ছে। সময় যত বাড়তে
থাকে সিরিয়াতে অস্থিতিশীলতা তত বেশি বাড়তে
থাকে
একই সময় সেই সময়ে ইরাক যুদ্ধটা শেষ হওয়ার পথে রয়েছিল কিন্তু ইরাককে কেন্দ্র করে আলকায়দা এবং আইএসআইএস এর অবস্থান তখন চরম তুঙ্গে ছিল, সেই সূত্র থেকে সিরিয়াতে মূলত সিভিল ওয়ারকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিদ্রোহী জন্ম হতে থাকে এবং আজকের দিন পর্যন্ত এখানে কয়েকশো বিদ্রোহী একসাথে ফাইট করে যাচ্ছে যার লিস্টটা অনেক লম্বা. সেই বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সবচেয়ে প্রধান টার্গেট একটাই মূলত বাশার আল আসাদ তাই এই ভিডিও বোঝার জন্য আপনাকে বিদ্রোহী গ্রুপ এবং ফাইটিং করা অন্যান্য গ্রুপগুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার একটা ধারণা থাকতে হবে এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কে কাকে সমর্থন দিচ্ছে সেটাও আপনার জানতে হবে
সিরিয়ান সিভিল ওয়ারের বর্তমান পার্টে অন্যতম বড় একটি নাম হচ্ছে এসটিএস বা হায়াত তাহরির আলশাম ২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ান সিভিল ওয়ারের প্রথম দিকের অন্যতম বড় নাম ছিল আল নুসরা ফ্রন্ট, যে আল নুনসরা ফ্রন্টের অন্যতম আরেকটি নাম ছিল জাবাত ফাতেহ আল শাম, সেই আল নুনসরা ফ্রন্ট বা জাবাত ফাতেহে আলশামের মধ্যে ইন্টার্নাল কোন্দল শুরু হয়ে যায় এবং সেখান থেকে জন্ম নেয় হায়াত তাহেরীর আলশাম। হায়াত তাহেরীর আলশামের বর্তমান প্রধানের নাম হচ্ছেন আবু মোহাম্মদ আল জুলানী আবু মোহাম্মদ আল জুলানীর বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং এবং ডেঞ্জারাস ফ্যাক্ট রয়েছে যার অন্যতম প্রধানটি হচ্ছে তিনি তার প্রথম ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০০৩ সাল পরবর্তী সময়ে আলকায়দার হয়ে ইরাকে।
পরবর্তীতে যখন আলকায়দার ভেতরে কোন দল থেকে সৃষ্টি হয় আইএসআইএস সেখান থেকে তিনি আইএসআইএস এ যোগ দেন এবং আইএসআইএস এর প্রধান পর্যন্ত হয়ে যান ইরাকের সিভিল ওয়ার যখন তুঙ্গে তখন ২০১১ সালে সিরিয়াতে সিভিল ওয়ার শুরু হয়ে যায় এবং সেখান থেকে তিনি সিরিয়া এর আল নুনসরা ফ্রন্টে যোগ দেন। দীর্ঘ সময় আল ননুসরা ফ্রন্টে থাকার পর তিনি ২০১৭ সালে এসে যোগ দেন হায়াত তাহেরীর আলশামে আজকের দিনে আলেপ্পো থেকে হামা থেকে হোমস পর্যন্ত যতগুলো শহর বিদ্রোহী গ্রুপগুলো ক্যাপচার করেছে তার মূল প্রান্তে ছিল মূলত হায়াত তাহেরির আলশামের লিডারশিপ। এবং সেখানে আবু মোহাম্মদ আল জুলুানীর নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত, জুলানীর হায়াত তাহেরীর আলশামও মূলত ইসলামী সুন্নি মতাদর্শের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটিও অন্যান্য দলগুলোর মত সরাসরি রিসেপ টাইপ এরদোগানের অদৃশ্য কমান্ডে পরিচালিত হচ্ছে
হায়াত তাহরীর আলশামের বাইরে এখানে আরো যুক্ত রয়েছে ইসলামিক স্টেট বা আইএসআইএস এর সাথে যুক্ত রয়েছে আলকায়দা। আইএসআইএস এবং আলকায়দার মূলত যুদ্ধ করার কোন নির্দিষ্ট অবজেক্টিভ নেই তারা প্রায় সব পার্টির বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছে। এদের বিরুদ্ধে তুমূল যুদ্ধ যেমন বাশার আল আসাদ বাহিনীর হয়েছে ঠিক একইভাবে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মি দুটো গ্রুপের সাথে এদের তুমূল ভাবে লড়াই হয়েছে। একইভাবে টার্কি ইউএসএ রাশিয়া ইরান হিজবুল্লাহ সবার বিরুদ্ধে এদের যুদ্ধ হয়েছে অন্যদিকে সবগুলো দলের বাইরে অন্যতম আরেকটা গ্রুপ রয়েছে সিরিয়ান নর্দান পার্ট জুড়ে-যেটি মূলত হচ্ছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স, এই গ্রুপের মূল স্পন্সর হচ্ছে মূলত সারা পৃথিবীর কুর্দিরা, এই কুর্দিদের তালিকায় রয়েছে টার্কিশ কুর্দি ইরাকি কুর্দি ইরানি কুর্দি এবং সিরিয়ায় অবস্থিত যত কুর্দি রয়েছে তারা সবাই। সহজ কথা পি কে কে, ওয়াই পি জি, ওয়াই পি জে, পি ওয়াই ডি কিংবা ওয়াইজেপি অথবা এমন যত গ্রুপ আপনি দেখতে পাচ্ছেন কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ তার সবগুলো গ্রুপের সমর্থন এই একটা গ্রুপের প্রতি রয়েছে, কুর্দি সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের শত্রুর তালিকাটা বিশাল, তাদের শত্রু যেমন বাশার আল আসাদ একইভাবে তাদের শত্রু সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি অথবা প্রি সিরিয়ান আর্মি একইভাবে টার্কিশ প্রেসিডেন্ট রিসেপ টাইপ এরদোগান সরাসরি
উল্লেখযোগ্য এই বড় গ্রুপগুলোর বাইরে যদি আপনি খুঁজতে চান সিরিয়াতে সত্যিকার অর্থে এই মুহূর্তে যুদ্ধে জড়িয়ে আছে অন্তত কয়েকশো গ্রুপ যে গ্রুপগুলো ছোট ছোট আকারে বিভিন্ন গ্রুপের আন্ডারে কাজ করে যাচ্ছে যার লিস্ট ঘাটলে আপনি শেষ করতে পারবেন না। যে কারণে আমি শুধু সামনের লিডিং পর্যায়ে যে গ্রুপগুলো রয়েছে তাদের পরিচয়টা এখানে তুলে ধরেছি বিভিন্ন গ্রুপে হয়ে লড়ে যাওয়া এই গ্রুপগুলোকে সব মিলিয়ে চারটা ভাগে ভাগ করা যায়। যার প্রথমটাই হচ্ছে সিরিয়ান আরব রিপাবলিক যেটা মূলত আসাদ এলাই এবং পরেরটাই হচ্ছে সিরিয়ান অপোজিশন পার্টি যেটা মূলত টার্কিশ এলাই অটোনমাস এডমিনিস্ট্রেশন অফ নর্থ এন্ড ইস্ট সিরিয়া যার সব প্রান্তে রয়েছে মূলত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স আর চতুর্থতে রয়েছে সিরিয়ান সেলাফি জিহাদিস্ট অর্গানাইজেশন গুলো যেখানে আলকায়দা আল নুনসরা ফ্রন্ট এবং আইএসআইএস এর মত গ্রুপগুলো রয়েছে মোটামুটিভাবে সিরিয়ার মানচিত্রের ভেতরে এই গ্রুপগুলোর বাইরে সবচেয়ে বড় ইন্টারন্যাশনাল অনেকগুলো শক্তি এখানে যুক্ত হয়ে গেছে যার মধ্যে প্রথম নামটি হচ্ছে ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা টার্কি রাশিয়া ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার খ্যাত ইসরাইল
পুরো গল্ফ কোয়ালিশন যে গল্ফ কোয়ালিশনে রয়েছে সৌদি আরব কাতার ইউএই বাহরাইন কুয়েত এবং গল্ফ কোয়ালিশনের বাইরে একমাত্র দেশ জর্ডান। বাশার আল আসাদ বাহিনীকে যদি ফলো করেন তাহলে বাশার আল আসাদ বাহিনীকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে মূলত তিনটি দেশ সেই তিনটি দেশের প্রথমটি হচ্ছে রাশিয়া এবং পরেরটি ইরান আর এরপরেই রয়েছে মূলত হিজবুল্লাহ, উল্লেখযোগ্য তিনটি দেশের বাইরে বাশার আল আসাদ বাহিনী কিছুটা সহযোগিতা পায় মূলত ইরাক থেকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে শতভাগ সহযোগিতা করে যায় মূলত টার্কি, আমেরিকা, গল্ফ জোট এবং আলনুসরা ফ্রন্ট। আর যে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স এখানে দেখতে পাচ্ছেন সেই সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স কে সহযোগিতা করে শুধুমাত্র ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা ইসরাইল এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সিরিয়ার ওয়ার জোনের সহযোগিতার দিক থেকে অন্যতম কি রোল প্লে করে যাচ্ছে মূলত ইসরাইল সিরিয়ান রিবেলে যতগুলো গ্রুপ রয়েছে হায়াত তাহের আলসাম থেকে সিরিয়ান আর্মি কিংবা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স অথবা আইএসআইএস কিংবা আলকায়দা, এমন যত গ্রুপ রয়েছে তাদের সবাইকে মূলত অস্ত্র এবং অর্থ দিয়ে সরাসরি সহযোগিতা করে যায় ইসরাইল
ইসরাইলের উদ্দেশ্য এখানে এটা নয় যে একে কতজন মানুষ মারতে পারছে। ইসরাইলের উদ্দেশ্য সিরিয়াকে কতটা অশান্ত রাখা যায় এবং কিভাবে সিরিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করা যায়। আর যেগুলো ফ্রন্টে দেখানো হয় না সেই সহযোগিতার তালিকায় আইএসআইএস আলকায়দা আল নুনসরা ফ্রন্ট কিংবা ছোট ছোট ইসলামিক আর্মস গ্রুপগুলোকে শতভাগ সহযোগিতা করে যায় ইসরাইল, ইউএস, টার্কি, এবং গল্ফ জোট আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে এরা মূলত রাশিয়ার সহযোগিতাও পায় এবার আসেন যুদ্দের ফিল্ডে কে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে এবং কে কার শত্রু বনে গিয়েছে এবং কিভাবে? ২০১১ সালে সিরিয়ান সিভিল ওয়ার শুরু হওয়ার পর থেকে এটা মূলত সারা পৃথিবীর বড় শক্তিগুলোর জন্য একটা কমপ্লিট যুদ্দখেত্র পরিণত হয়েছে, সেই যুদ্দখেত্রে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পুরো ছন্ন ছাড়া অবস্থায় চলেছে বাসার বাহিনী একসময় এমন অবস্থা হয়েছে যে তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল মাত্র ১০ শতাংশ এরিয়া সারা সিরিয়া জুড়ে, যার বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়ে নিয়েছে আলকায়দা আইএসআইএস আলু ফ্রন্ট ফ্রি সিরিয়ান আর্মি কিংবা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স
২০১৪ সালের শেষ দিকে এসে সেই সময় সিরিয়ার বাশার আল আসাদ বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে মাত্র দুটি গ্রুপ প্রথমটি হচ্ছে ইরান তারপরেরটি হচ্ছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ এবং ইরানের সহযোগিতায় যখন বাশার বাহিনী ফাইটব্যাক করতে শুরু করে তখন তাদের মূলত সবচেয়ে বেশি দুর্বল পজিশন ছিল এয়ার পাওয়ারে। যে এয়ার পাওয়ারের জন্য তারা ধরনা দেয় রাশিয়ার কাছে এবং ২০১৬ সালে এসে রাশিয়ায় এই যুদ্দখেত্রে যুক্ত হয়ে যায় বাসার বাহিনীকে উদ্ধার করে এবং পুরো সিরিয়ার ৬৫% এরিয়া দখলমুক্ত করে পুনরায়। রাশিয়া- ইরান- এবং হিজবুল্লাহ এই তিনটি গ্রুপ বাসার বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করেছে মূলত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের বিরুদ্ধে প্রিসিরিয়ান আর্মির বিরুদ্ধে আল নুনসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে আইএসআইএস এর বিরুদ্ধে এবং আলকায়দার বিরুদ্ধে। একই জায়গায় ইউনাইটেড স্টেট অফ আমেরিকা গল্ফ জোট ইসলামিক গ্রুপ এবং আল নুসরা ফ্রন্ট এরা সবাই যুদ্ধ করেছে মূলত আইএসআইএস এবং আলকায়দার বিরুদ্ধে, আর এই পুরো যুদ্ধের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল পজিশন মূলত হচ্ছে টার্কির যে টার্কি সরাসরি বাশার আল আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে ।কউতহল ভাবে টার্কি কোন ধরনের বম্বিং আইএসআইএস এবং আলকায়দার বিরুদ্ধে না করলেও কিছু সময় তারা বম্বিং করেছে আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে।
টার্কির এমন পজিশন এখানে কনফিউশন জন্ম দিয়ে দিয়েছিল সারা পৃথিবীতে যে টার্কি আসলে কার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে? এবার আপনি যদি এখানে ভালো করে তাকান তাহলে টার্কির শত্রু হচ্ছে মূলত কুর্দি এবং বাশার আল আসাদ, এর বাইরে অল্প কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ টার্কির সফট পাওয়ারফুল শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। অপরদিকে আমেরিকার জন্য শুধুমাত্র কুর্দি ছাড়া বাকি সবাই ছিল তার শত্রু বাশার আল আসাদ থেকে শুরু করে আল নুসরা ফ্রন্ট, আইএসআইএস এমনকি যতগুলো বিদ্রোহী গ্রুপ রয়েছিল তারা সবাই ছিল মূলত আমেরিকার শত্রু। বাস্তবতার এই খেলা ইসরাইলের মূলত লিখিত কোন শত্রু ছিল না একমাত্র বাশার আল আসাদ ছাড়া। ইসরাইল যেমন কুর্দিদের সমর্থন দিয়ে গেছে তেমনি বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর অন্যান্য যত দল রয়েছে তাদের সবাইকে সমর্থন দিয়ে গেছে ইভেন ফান্ডিং থেকে শুরু করে ট্রেনিং পর্যন্ত ইভেন অস্র সাপ্লাই পর্যন্ত তার সবকিছু ইসরাইল দিয়ে গেছে সবাইকে। আর পুরো যুদ্ধ্বক্ষেত্রে ইরান এবং রাশিয়ার শত্রু খুবই চিহ্নিত করা ছিল যারা মূলত বাশারের শত্রু তারা সবাই ইরানের এবং রাশিয়ার শত্রু হিজবুল্লাহর শত্রুতে পরিণত হয়েছিল
এবার পুরো ইস্যুকে যদি ভালোভাবে তাকান তাহলে আপনি খুঁজে পাবেন সিরিয়াকে কেন্দ্র করে প্রো ওয়েস্টার্ন ভার্সেস গ্লোবাল সাউথের যে গ্যাস পাইপলাইন ছিল সেই গ্যাস পাইপলাইন কেন্দ্রিক শক্তিগুলো সিরিয়ার যুদ্ধ্বক্ষেত্রে ঠিক আগের মতোই আছে, সেখানে গ্লোবাল সাউথের এলায় ছিল রাশিয়া, ইরান, বাশার আল আসাদ এবং হিজবুল্লাহ। ঠিক একইভাবে তাদের সমর্থন দিয়ে গেছিল চায়না ঠিক একইভাবে টার্কি ইসরাইল গল্ফ কোয়ালিশন ইউরোপী ইউনিয়ন এবং আমেরিকা মিলে ছিল প্রো ইস্টার্ন পাইপলাইন এবং ওয়ারফিল্ডেও তারা ঠিক একইভাবে গ্লোবাল সাউথের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। ঠিক এই জায়গায় এসে আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে সেলাফি জিহাদিস যতগুলো গ্রুপ ছিল তারা তাহলে এখানে আসলে কি করেছে এতদিন সহজ ভাষায় যদি উত্তর দিতে যায় তাহলে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের উপর যেকোনো কারণে আপনি আক্রমণ করতে পারেন না এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে প্রো ইস্টার্ন পাইপলাইনের শক্তিগুলো সেখানে আক্রমণ করার কোন অজুহাত ছিল না।
যার প্রথম অজুহাত হিসেবে তারা দাঁড় করিয়েছিল আরব স্প্রিং এবং আরব স্প্রিংকে কেন্দ্র করে এখানেই তৈরি হয়ে গেছে আলকায়দা আইএসআইএস আলনুসরা ফ্রন্ট থেকে শুরু করে আজকের দিনের এসটিএস, এরা মূলত পুরো কনফ্লিক্টটাকে ধরে রেখেছে গত ১৪ বছর ধরে, প্রো ইস্টান শক্তিগুলোর হয়ে লড়াই করেছে মূলত সিরিয়ার মাটিতে সিরিয়ার মানুষের বিরুদ্ধেই। ভুলে যাওয়ার কথা নয় আসাদ এবং ইরানের রেজিমের হাতে যেভাবে সিরিয়ার মানুষ হত্যা হয়েছে ঠিক একইভাবে আলকায়দা আইএসআইএস এবং আল নুনসরা ফ্রন্টের হাতেও সিরিয়ান মানুষের গণহত্যার শিকার হয়েছে। এই গণহত্যা এবং সিরিয়ান সিভিল ওয়ারকে গত ১৪ বছর ধরে টেনে নেওয়ার জন্য প্রো ওয়েস্টার্ন শক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সাধারণ সিভিলিয়ানদের সবচেয়ে বেশি ডিভাইডেড করেছে দুটো ট্যাবলেট খাইয়ে যার প্রথমটাই ছিল শিয়া সুন্নি ডিভাইডেশন এবং পরেরটাই হচ্ছে মুজাহিদিন বা মুজাহিদিনের হাত ধরে খেলাফত প্রতিষ্ঠা যে মুজাহিদিনদের পেছনের শক্তি মূলত আলকায়দা আইএসআইএস এবং আল নুনসরা ফ্রন্টের মত কিলিং স্কোয়াড গুলো কাজ করে যাচ্ছে।
আরো যদি ডিপলি রিসার্চ করতে চান তাহলে আপনি খুঁজে পাবেন সিরিয়ান মুজাহিদিনদের বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ অংশেই মূলত উজবেকিস্তান কাজাকিস্তান এবং উইগোর থেকে আসা বিচ্ছিন্ন আর্মস গ্রুপের সদস্যগুলো মুজাহিদিন নামের এই শব্দের সাথে সবচেয়ে বেশি অংশে জড়িয়ে আছে মূলত ইসরাইল লিংকড ইসরাইল টাকা এবং ইসরাইলি অস্র আপনি যদি ডিপলি খুঁজতে চান তাদের কৌশলগত গিয়ার পর্যন্ত ইসরাইলি। এখানে আমি খুব বেশি কিছু বলবো না শুধু একটা প্রশ্নের উত্তর আপনারা আমাকে দিয়ে যাবেন যদি সম্ভব হয় পৃথিবীতে কোন মুজাহিদিনের কথায় ইসলামে বলা হয়েছে যারা ইহুদিদের সহযোগিতা নিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে? বরং আমি যতদূর জানি ঠিক এভাবেই বলা হয়েছে যে ইহুদিদের সহযোগিতা নিয়ে যারা ইসলামের জন্য লড়াই করতে আসে তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী এবং তাদের মূল টার্গেট হচ্ছে ইহুদিবাদকে প্রতিষ্ঠা করা
এবার আপনি দুই দুয়ে চার মিলান ১৪ বছর ধরে বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে শুরু করে জিহাদীস গ্রুপগুলো যে লড়াই করেছিল সেই সুযোগটা তাদের হাতে স্ট্রংলি চলে এসেছিল যখন ইরান গাঁজা এবং লেবানন ওয়ার নিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় প্রায়, ঠিক একই জায়গায় ইউক্রেন ওয়ার নিয়ে রাশিয়াও বিধ্বস্ত সিরিয়ার বাশার আল আসাদকে ব্যাকআপ করতে পারে এমন কোন শক্তি এখানে আর অবশিষ্ট নেই এবং দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এসটিএস এর মত গ্রুপও যথেষ্ট শক্তিশালী হয়েছে এবং টার্কির হাত ধরে সব ধরনের অস্ত্র ইসরাইলের সহযোগিতায় আলেপোতে এসে জমা হয়ে গেছে। সিরিয়ার বর্ডার কেন্দ্রিক বাশার আল আসাদকে সহযোগিতা করতে পারা একমাত্র শক্তি হিজবুল্লাহর লিডারশিপ বলতে এখন আর তেমন কোন কিছু নেই এবং আমেরিকা স্বয়ং সিরিয়াতেই অবস্থান করে যাচ্ছে যে একটা কারণে প্রোস্টান শক্তিগুলোর কাছে এটাই সবচেয়ে বেটার অপশন ছিল যে হিজবুল্লাহর সাথে একটা সিসপায়ারে চলে যাওয়া এবং ইনস্ট্যান্ট সিরিয়াতে অ্যাটাক করে দেওয়া নিশ্চিতভাবেই বলা যায় প্রোস্টান শক্তিগুলো যতটা একুরেট প্ল্যান করেছে তার সে একুরেট তাদের রেজাল্ট চলে এসেছে এবং কোন ধরনের রিটালিয়েশন ছাড়াই বাসার আলাসাদ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে
আপনার ক্লিয়ার মনে থাকার কথা আলো থেকে যখন হামার দিকে বিদ্রোহী গুলো এগিয়ে যাচ্ছিল তখন এরদোগান সরাসরি ওপেন ফিল্ডে এই প্রতিশোধের পেছনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন একই অবস্থা আপনি দেখেছেন নেতা নিয়াহু খুব দ্রুত লাইভে এসে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে কনগ্রাচুলেশন জানিয়েছেন এবং আসাদ পালানোর পেছনে তার ক্রেডিট নিতে একটুও দেরি করেননি। একই ধরনের উদযাপন এবং উদ্দীপনা আপনি দেখতে পেয়েছেন আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো দেশের মধ্যে এই প্রেক্ষাপটে এসে যদি আপনি তাকান সিরিয়ার দিকে তাহলে আপনার মনে হবার কথা যে রেভুলেশনে আজকের দিনে সিরিয়া মুক্ত হয়ে গেছে দেখা যাচ্ছে সেই রেভুলেশনকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীর মুসলিম কান্ট্রিগুলো সবচেয়ে বেশি আনন্দ উদযাপন করার কথা কিংবা গভমেন্ট অফিসিয়াল বডিগুলো তাদের অফিসিয়াল মাধ্যমে মূলত সিরিয়ান বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে অভিনন্দন জানানোর কথা
কিন্তু বাস্তবতায় ঘটে যাচ্ছে তার উল্টোটি শুধুমাত্র ইসরাইল এবং টার্কি ছাড়া পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্রকে আপনি দেখতে পেয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাতে সিরিয়ার মাঠে আজকের দিন না বরং গত ১৫ বছরে যা ঘটে যাচ্ছে তার প্রত্যেকটা জিনিস সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটা গভমেন্ট খুব ভালোভাবে জানে যে কারণে তারা আজকের দিনে কাউকে কোন ধরনের অভিনন্দন জানানো তো বহু দূরের ব্যাপার বরং নিজেরা সাবধান হচ্ছে যে নিজেদের বিপদটাকে কিভাবে সামাল দেওয়া যায়। যে বিপদের কথা আমি বলে যাচ্ছি সেই বিপদে শুরু হয়ে গেছে ৮ ই ডিসেম্বর বাশার আল আসাদের পতনের পরপরই ৮,৯ এবং ১০ ই ডিসেম্বর এই তিন দিন টানা আপনি দেখেছেন সিরিয়ার মাটিতে ইসরাইলের মোহরমোহর এয়ার স্ট্রাইক ইসরাইল টার্গেট করে সিরিয়াতে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪৫০ টিরও বেশি এয়ার স্ট্রাইক করেছে এবং প্রত্যেকটা এয়ার স্ট্রাইকের মূল টার্গেট ছিল মূলত সিরিয়ান ডিফেন্স সিরিয়ান নেভি এবং সিরিয়ান এয়ারফোর্স।
যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে সিরিয়ান এয়ারফোর্স বলতে এখন আর কোন কিছু নেই, সিরিয়ান নেভির ৯০% কমপ্লিটলি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সিরিয়ান মিলিটারি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রায় ৭০% কমপ্লিটলি ধ্বংস হয়ে গেছে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় বরং সিরিয়াতে ইসরাইল টার্গেট করেছে গভমেন্ট ডাটা সেন্টার গুলোতে যার প্রথম টার্গেট হিসেবে ইসরাইল অ্যাটাক করেছে সিরিয়ান পাসপোর্ট সেন্টার এবং পাসপোর্ট ডাটা সেন্টার পুরোটাতে খবর এটাও পাওয়া গেছে সিরিয়ান সিটিজেন চার্টারের সবকিছুই তার ধ্বংস করে দিয়েছে। এবং এর আল্টিমেট মানে হচ্ছে সিরিয়ার নাগরিক কে সেটা এখন আর আপনি নির্ধারণ করার জন্য আপনার কাছে সত্যিকার অর্থে খুব ভালো কোন ডাটা নেই যে সুযোগটা নেবে মূলত ইসরাইলি মোসাদ এবং এখানে এসে সিরিয়ার নাগরিক হিসেবে বাসা বাঁধবে এবং আগামী দিনগুলোতে সিরিয়ার উপর বিরাট আকারের ঝড়ি ঘুরাবে তারা খুব সহজেই ইসরাইল পরবর্তী টার্গেটে মূলত সিরিয়ান সাইন্টিস্টদেরকে টার্গেট করেছে এবং প্রত্যেকটা এরিয়া ধরে ধরে সাইন্টিস্টদের হত্যা করে যাচ্ছে
যে তালিকায় মাইক্রোবায়োলজিস্ট নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্ট কেমিক্যাল সাইন্টিস্ট থেকে শুরু করে নিউরোসাইন্স নিয়ে পর্যন্ত গবেষণা করেন এমন সবাইকে তারা হত্যা করে যাচ্ছে গত ৩৬ ঘন্টা ধরে এখানে তো শুধু দেখতে পাচ্ছেন সিরিয়াকে মেধাশূন্য করা এবং সিরিয়ার ডেটা সেন্টারকে কমপ্লিটলি ধ্বংস করা এবং সিরিয়ার মিলিটারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ধ্বংস করে দেওয়া কিন্তু এরপরও গেম থেমে নেই বরং সিরিয়ার সাউদান বর্ডারের গোলানহাইট এরিয়া থেকে শুরু করে লেবানন বর্ডার হয়ে দামেস্কের দিকে এগিয়ে আসছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। বর্তমান বাস্তবতায় সিরিয়াকে নিয়ে ইসরাইল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে অথবা যেভাবে সিরিয়াকে ধ্বংস করে দিয়েছে তাতে আগামী দিনে ইসরাইলের মূল প্ল্যান হচ্ছে মূলত গ্রেটার ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া বিলিভ ইট অর নট ইসরাইল এটাই করে যাচ্ছে এবং আগামীর দিনগুলোতেও এটাই করে যাবে এই প্রেক্ষাপটে বর্তমান সিরিয়াতে যে রিভিল গ্রুপগুলোকে দেখতে পাচ্ছেন তারা একটাও ইসরাইলের সামনে দাঁড়ানোর কোন সাহস নেই এবং আগামীর দিনগুলোতেও দাঁড়াবে না এটা নিশ্চিত।
কারণ এরা সবাই টিকে আছে মূলত ইসরাইলের সহযোগিতায় ইসরাইলের অস্ত্রে এবং ইসরাইলের ট্রেনিং এ। এই যুদ্ধের লং রানের বিজয়ী হচ্ছে মূলত ইসরাইল এবং ইসরাইল তার গ্রেটার ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে মুজাহিদিন নামে যাদেরকে আপনারা এখানে দেখতে পাচ্ছেন তারা মূলত ইসরাইলি পুতুল। এর বাইরে যদি তাকান আজকের দিনে এই যুদ্ধের সবচেয়ে শর্ট রানের বিজয়ী হচ্ছে মূলত সিরিয়ার সাধারণ জনগণ যারা কিছুটা সময়ের জন্য একটা বড় আনন্দ উদযাপন করার সুযোগ পাচ্ছে এই আনন্দ বেশিদিন টিকে থাকবে না। সিরিয়ার সাথে সাথে শর্ট রানের আরেকটা বিজয়ী হচ্ছে মূলত টার্কি। সিরিয়া কেন্দ্রিক টার্কির তিনটা সমস্যা ছিল যার প্রথমটাই হচ্ছে রিফিউজি ক্রাইসিস সেই সাথে কুর্দিদের দমন করার জন্য নর্দান সিরিয়াতে অ্যাটাক এবং নর্দান সিরিয়ার ভূমি দখল করা টার্কির সবচেয়ে বড় ক্রাইসিস বলে গণ্য করা হয়
এবং জিও ইকোনোমিক সেন্সে তীকির জন্য সিরিয়ার উপর দিয়ে গ্যাস পাইপলাইন গুলোকে নিয়ে এসে টার্কিতে একটা ট্রান্জিশনাল হাব তৈরি করলে এখানে বিশাল অংকের অর্থ হার করার সুযোগ রয়েছে সম্ভবত সেই সুযোগটাও টার্কি খুব দ্রুত আদায় করে নিতে পারবে কিন্তু লং রানে টার্কির জন্য এখানে বড় ধরনের পরাজয় অপেক্ষা করে যাচ্ছে আগামীর দিনগুলোতে কুর্দিরা এই অঞ্চলে আরো বেশি শক্তিশালী হবে কারণ অস্থিতিশীলতা সিরিয়াতে যত হবে কুর্দিরা তত বেশি শক্তি সঞ্চয় করব। আমেরিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্লিয়ারলি কুর্দিদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এবং তারা আগামী দিনেও দিয়ে যাবে এবং তারা যখন দেখেছে যে এখান থেকে বাসারের মত স্বৈরাচারকে সরানো গিয়েছে এবং সিরিয়াকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেওয়া গিয়েছে আগামীর দিনগুলোতে তারা সেম টেকনিক অবলম্বন করবে টার্কিতেও এবং আমেরিকা এটা কেন করতে পারবে তার কিছু উদাহরণ আপনাকে দিচ্ছি শুধু টার্কির মানচিত্রের দিকে তাকান আর টার্কির প্রতিবেশীদের দিকে তাকান টার্কির সাথে সমস্যা আর্মেনিয়ার টার্কির সাথে সমস্যা জর্জিয়ার টার্কির সাথে বুলগেরিয়ার সমস্যা টার্কির সাথে গ্রিসের সমস্যা টার্কির সাথে সিরিয়ার সমস্যা টার্কির সাথে ইরাকি কুর্দি এবং ইরানি কুর্দিদের সাথে ওর সমস্যা
ভারতের মত করে যদি আপনার চারপাশের সব প্রতিবেশীর সাথে সমস্যাই হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে এটা বুঝে নিতে হবে যে সমস্যা প্রতিবেশী নয় বরং সমস্যা আপনি নিজে এবং টার্কি ওয়েস্ট এশিয়াতে একটা বিশাল সমস্যার জন্ম দিয়েছে আগামীর দিনগুলোতে টার্কি সাধারণ মানুষ সেটার প্রায়শ্চিত্ব করবে আর সিরিয়ার মাটিতে লং রানের সবচেয়ে বড় লুজার হচ্ছে মূলত ইরান ইরানের প্রতি যাদের খুব ভালোবাসা রয়েছে তাদের জন্য এটা সিরিয়াসলি একটা ব্যাড নিউজ যে ইরান এত বেশি লুজার হয়েছে এখানে আগামী ৪০/৫০ বছরও ইরান কোনদিন আর সিরিয়াতে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক ইরানের স্ট্র্যাটেজিক ফেইলিউর ক্লিয়ারলি লক্ষিত হয়েছে যখন হামাস লিডার ইসমাইল হানিয়াকে ইরানের ভেতরেই হত্যা করা হয়েছে যেখানে ইরান তার স্টেট গেস্টকে নিরাপত্তা দিতে শতভাগ ব্যর্থ হয়ে গেছে ঠিক একইভাবে পাওয়ার হাউস হিসেবে হাসান নাসরুল্লাহ নিরাপত্তা দিতে না পারাটাও ইরানের জন্য বিশাল আকারের ব্যর্থতা।
অপরদিকে যদি তাকান সিরিয়ান কনসুলেটে হামলা করে ইসরাইল ইরানিয়ান আইআরজেসি কমান্ডারদের কমপ্লিটলি হত্যা করেছে সেই সম্পর্কে কিছু জানতে না পারা ইরানের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা এভাবে দুই বছরের বেশি সময় ধরে টানা ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা আজকের দিনে ইরান সিরিয়াকে হারিয়েছে যে সিরিয়াকে ইরান হারিয়েছে সেই সিরিয়া ছিল মূলত ইরানের মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক মাস্টার প্ল্যানের একটা লাইফলাইন। ইরান যেখানে তার লাইফলাইন হারিয়েছে সেখানেই ইসরাইল তার লাইফলাইন প্রতিষ্ঠা করেছে রিবেল গ্রুপগুলোর মাধ্যমে যার আল্টিমেট মানে হচ্ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জিওপলিটিক্যাল গেমের লং রানের লুজার হচ্ছে ইরান এবং লং রানের উইনার হচ্ছে ইসরাইল মোরাল অফ দা স্টোরি এখন পর্যন্ত এটাই যে তিনটা পাইপলাইনের কথা আগে বলেছি সেই তিনটা পাইপলাইনের আল্টিমেট গোল ছিল টার্কি এবং প্রত্যেকটা পাইপলাইন টার্কি হয়ে মূলত চলে যেত ইউরোপে। ইউরোপের মাটিতে যখন টার্কি হয়ে কোন পাইপলাইনে গ্যাস এবং তেল সাপ্লাই আপনি দেবেন সেখানে টার্কি বিশাল রেভিনিউ আর্ন করবে কুর্দিদের বাইরে টার্কির এটা ছিল সবচেয়ে বড় স্ট্রাটেজিক প্ল্যান এবং সেটা টার্কি অলরেডি ইমপ্লিমেন্ট করার পথে এগিয়ে গিয়েছে এবং এখানে টার্কি সফলতা দেখা যাচ্ছে একই জায়গায় আমেরিকা তার স্ট্র্যাটেজিক যত ধরনের বেনিফিট রয়েছে তার পুরোটা এখান থেকে আদায় করে নেওয়ার সবচেয়ে বড় রাস্তা খুঁজে পেয়ে গেছে এবং নর্দান সিরিয়ার ওয়েলফিল্ড একটাও আমেরিকা তখনো ছাড়েনি এখনো ছাড়েনি এবং আগামী দিনগুলোতে ছাড়বে বলে কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না
আল্টিমেটলি আমেরিকাও এখানে থেকে যাচ্ছে সিরিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাশিয়া তার এয়ারফিল্ড গুলোকে উইথড্র করলেও লাতাকিয়া থেকে বেশ কিছু এরিয়াতে তার এখনো শৈন্য রয়েছে এবং সেখানে শূন্য থাকার গ্যারান্টি তারা এখনো এখন পর্যন্ত বিদ্রোহী গুস্টি থেকে পেয়ে গেছে এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে যার মানে হচ্ছে রাশিয়া বাসার আসাদ কে থেকে এখন পর্যন্ত পুরোপুরি দিতে না পারলেও সিরিয়াতে তার ইন্টারেস্ট বজায় রাখার জন্য এখানে সে থেকে যাচ্ছে। শুধুমাত্র এখানে সবচেয়ে বড় লুজার একটা দেশ সেটা হচ্ছে ইরান, ইরান কোনো ধরনের স্ট্যাটেজিক ইন্টারেস্ট ধরে রাখার জন্য কোনো অপশন এখানে তৈরি করে রাখতে পারেনি এবং ইরান এখান থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে । এবং বাকি অংশে যে সবচেয়ে বেশি ভ্যানিফিটেড হয়েছে সে হচ্ছে ইসরাইল ,সিরিয়ান সাউদার্ন বর্ডার থেকে যদি আজকের দিনে আপনি ফলো করেন ইসরাইল দামিসকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং পুরো এরিয়াটা জুড়ে তারা মূলত লেবাননের বর্ডার কেন্দ্রিক এরিয়াতে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা আল্টিমেট মানে হচ্ছে তারা এখন থেকে যতটা এরিয়া রয়েছে তার পুরোটা জুড়ে, লেবাননের সাথে নিজেদের সীমানা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাবে লেবাননকে গাজার মত করে পুরোপুরি ভাবে সিরিয়া থেকে আলাদা করার চেষ্টা করবে ইসরাইল যদি ইজরায়েল কোনোভাবে তার প্ল্যানে ঠিকভাবে সাকসেস হতে পারে তবে সে কোনভাবেই দামেশকো পর্যন্ত থেমে থাকবে না সে লাতাখে পর্যন্ত চলে যাওয়ার চান্স রয়েছে এবং যেভাবে ননস্টপলি এগোচ্ছে সে সেটাই করবে।
এবং আলটিমেটলি তার যে গ্রেটার ইসরাইলের প্লান রয়েছে সেই ইসরাইলের প্লানের প্রথম পার্টটা এবার সে ইমপ্লিমেন্ট করতে যাচ্ছে পুরো সিরিয়া জুড়ে এবং তারকি গণমাধ্যম অনফিল্ডে এখন ক্লিয়ারে আলোচনা করে যাচ্ছে যে তাদের অটোমেন সম্রাজ্যের আগামী দিনের ম্যাপটা আসলে কি হবে সিরিয়াকেন্দ্রিক সেটা আপনি অলরেডি বুজতে পাচ্ছেন। সিরিয়াকে কেউ আর সিরিয়ার স্বাধীনতাকে মূলত স্বীকার করেনা সবাই মূলত সিরিয়াকে যত সম্ভব লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তা করে যাচ্ছে আগামী ১০০ বছর পরেও যদি কোনদিন সিরিয়া কেন্দ্রীক ইতিহাস লেখা হয় তাহলে আপনি খুঁজে পাবেন সিরিয়া থেকে মূলত একটা দেশ সরাসরিভাবে তার শতভাগ ইন্টারেস্ট লুজ করে এখান থেকে পরাজিত হয়ে পালিয়েছে সেটা হচ্ছে ইরান সিরিয়াতে নিজের ইন্টারেস্ট ধরে রেখে সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে দুটো দেশ সেটা হচ্ছে তারকি এবং ইসরাইল। সিরিয়াতে আনঅফিসিয়ালে নিজেদের ইন্টারেস্ট এখনো ধরে রাখার জন্য যত ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার তার পুরোটাই করে যাচ্ছে রাশিয়া এবং আমেরিকা
শেষদিকে এসে এটা বলতে হয় যে সিডন্যায়া প্রেজেন্টসকে কেন্দ্র করে যে ছবি এবং ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখতে পেয়েছি সেটা সত্যিকার অর্থে এমন কোন মানুষ নেই যাদের অন্তরে নাড়া দেয়নি এতটা ভয়ঙ্কর ছবি হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের খুব কম বেশি জন্ম দিতে পেরেছে বাসার আলাসাদের বাবা থেকে শুরু করে যত ধরনের জেলবন্ধি ছিল তাদের সবাইকে মূলত এই ১ যায়গায় পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে পুরো ১ জেলে সব মিলে প্রায় ১.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ বন্দি ছিল এবং তাদের সবাইকে এখানে বিভিন্ন রাজনীতিক কারণে এনে বন্দি করা হয়েছে এই কারাগারে এমন অনেক বন্দিদের পাওয়া গেছে যারা কোনোভাবেই সিরিয়াল নাগরিক ৯ কেউ ছিল জর্ডানের নাগরিক কেউ ফিলিস্তিনি নাগরিক কেউ আবার লেবাননের নাগরিক এ ধরনের সব নাগরিক কেউ এখানে পাওয়া গেছে খারাপের মধ্য দিয়ে যে সূচনা হয়েছে সেটা যদি কোনভাবে ভালো কোন রেজাল্ট এনে দিতে পারে তবে মুসলিম উম্মাহর চেয়ে আর বেশি খুশি হয়তো কেউ হবে না কিন্তু যে অ্যানালিসিস আমি দিয়েছি কিংবা যে ডেটা আমি দেখতে পাচ্ছি অথবা যেভাবে আগামীর দিনগুলোতে এ হচ্ছে সিরিয়াস সেখানে আগামী দিনে শান্তি সেই বরং অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি অংশে যেমনটা আমেরিকার ইরাক যুদ্দের পর ইরাকের সাধারণ মানুষ খুব প্রফুল্ল ছিল অনেক বেশি আনন্দ করেছে কিন্তু ৫ বছর যেতে না যেতেই তারা রিইয়েলাইস করেছে যে ইরাক আর তাদের হাতে নেই এবং আজকের দিন পর্যন্ত ইরাক আসলে ইরাকীদের হাতে নেই সিরিয়া নতুন ইরাকে পরিণত হয়েছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত আগামীর দিনগুলোতে সেটা কতটা ভয়াবহ হবে সেটা হয়তো আমাদের কল্পনার বাইরে চলে গিয়েছে কারন একদিক থেকে তারকি আরেকদিক থেকে ইসরাইল মধ্যখানে রাশিয়া এবং আমেরিকা সবাই মূলত এখন সিরিয়াকে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে শতভাগ।
x
0 Comments