তাবলীগ : সমাজে বিভেদ সৃষ্টির পেছনে কারা ? বিশ্ব ইজতেমা ২০২৫ || Pinaki Bhattacharya
তাবলীগের বিশ্বস্তেমা শুধু বাংলাদেশ না সারা দুনিয়ায় একটা ফেনোমেনাম হয়ে উঠছিল শুধু ধর্মীয় গুরুত্বেই না সামাজিক প্রভাব অতুলনীয় একটা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি জাতীয় উইকের মঞ্চ হিসেবে বিশ্বস্থানে ১ শক্তিশালী ইমেজ নিয়া দাঁড়াইতেছিল যত রাজনীতিক মতাদর্শিক বিরোধ থাকুক না কেন শীর্ষ রাজনীতিক নেতারা সারা দেশের মানুষের সাথে আখিরি মোনাজাতে দাঁড়াইতেন কিন্তু ইসলাম ওফোব দুনিয়ার ভয় সম্মিলিত মুসলমানদের মুসলমানরা একসাথে দাঁড়ায় নামায পড়লে ওদের চুলকানি শুরু হয় এইডারে সে ঘরের অন্তরে হান্দায় দিতে চায় কয় ধর্ম প্রাইভেট ব্যাপার তুমি ঘরের মধ্যে করবা আর বিশ্বস্তমার মত সুবিশাল দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা শুরু হয় ওয়ার্ল্ড অঞ্চলের প্রজেক্ট হিসাবে এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে হাত লাগায় ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ার বাংলাদেশের সকল লেসপন্সার আওয়ামী লীগ ডেলিস্টার এবং প্রথম আলো।
অনেকে বলতে পারেন আপনারা সবকিছুতেই ডেইলিস্টারের সংযোগ দেখেন কেন? আরে ভাই সংযোগ থাকলে আমি কি করবো দুইয়ে দুইয়ে ৪ মিলে গেলে আমি কি সেটাকে ১০ দেখাবো তবে-
আমি এই ধর্মীয় বিষয় মিয়া দূরে থাকতে সিদ্ধান্ত নিছিলাম আমি ভাবছিলাম আমাদের মুরুব্বী আলেম ওলামারা এই ব্যাপারটা নিয়ে ডিল করবেন কিন্তু যখন এর পিছে আওয়ামী লীগ ভারতের পরিকল্পনা আবিষ্কার করলাম প্রথম আলো, ডেলিস্টারের সংযোগ আবিষ্কার করলাম তখন এই সমাজের একজন নাগরিক হইয়া এই ইস্যু নিয়া চুপ থাকতে পারলাম না শুধু তাই না কিভাবে ভারতের এই লেসপন্সার গুলা বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন কইরা ফেলছে সেটা দেখে আমি আতঙ্কিত হইয়া গেলাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মূল নেতৃত্বের কাছাকাছি চলে আসছে তারা এর ফলে ফ্যাসিবিরোধী লড়াই এর মূল শক্তি হেফাজতের সাথে বর্তমান সরকারের দূরত্ব তৈরির ঝুঁকি তৈরি হইছে এই কারণেই তাবলীগ নিয়া মহাসড়যন্ত্র দেশবাসীর সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়াটা আমার কর্তব্য আর দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াইলো, আশা করি আমার পাঠকেরা এটা পড়ার পরে তাবলীগ প্রসঙ্গে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হবে।
আমি স্পষ্ট ভাবে দেখায় দেবো তাবলীগ যে আমাদের এই ২ গ্রুপের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বিরোধের পিছনে প্রত্যক্ষভাবে রয়েছে ইন্ডিয়া, কিভাবে? তাবলীগের ভেতরে যাদেরকে জুবায়ের পন্থী বলা হইতেছে সেটাই তাবলীগের মূল ধারা। সেপক্ষের সাথে আছেন বাংলাদেশের কওমি দেওবন্দি, হেফাজত। অর্থাৎ মূল ধারার আলেম সমাজের প্রায় সকলেই। এবং তাবলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সাধারণ জনতার বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। আবার ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতেছে এই পক্ষ আদর্শগত এবং মনস্থার্থিকভাবে শেখ হাসিনার ফেসিবাদী শাসন এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের ঘোর বিরোধী। এই পক্ষই তাবলীগের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী অংশ ২ নাম্বার তাবলীগের ভেতরে যাদেরকে সাদ পন্তি বলা হইতেছে এই পক্ষের সাথে যারা আছেন তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অংশ এবং ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত। এ পক্ষের সাথে যারা আছেন তাদের বড় অংশই সেকুলার এডুকেশনে শিক্ষিত মূল দ্বারা সুপরিচিত আলেমদের কেউই এই পক্ষের সাথে নাই এ পক্ষে নেতৃত্বে বা সামনের সারিতে যারা আছেন, আসেন তাদের কয়েকজনকে আমরা দেখি আলহাজ্ব সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম উনি কে? উনি ডেলিস্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ এনামের স্ত্রী শাহিন আনামের ছোট ভাই। সুমন কালে একজন মুক্তিযোদ্ধা মানুষ হিসাবে খারাপ না কিন্তু ওই যে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং আছে তো ইন্ডিয়ায়, ইন্ডিয়াস ইন্টারেস্টের পাশে উনি দাঁড়ায়ছেন নিচে ছবিতে দেখেন তাবলীগের এতাদি গ্রুপের মুরুব্বী আলহাজ্ব সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সামনে সারির ডানে বসা, পেছনের সারিতে বসা আলহাজ্ব সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এর বোন ডেলিস্টারের সম্পাদক মাহফুজুর আনামের স্ত্রী, তার পেছনে দাঁড়ানো মাহফুজ এনাম এবং বাম পাশে এতাতি গ্রুপের অপর নেতা মুফতি ওসামা ইসলাম পাগড়ি পড়া।
আর মাওলানা আবু রেজা নঅধ্রি আওয়ামী লীগের ১ ভোট ডাকাত এমপি আরকে সাতক্ষীরা জেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী এত্তেজা হাসান আমরা তার পরিচয় আরো বিস্তারিতভাবে দেখবো আর কে মুক্তি ওসামা ইসলাম সাদ পন্থি অংশের অন্যতম মুরুব্বী আলহাজ্ব সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এর ছেলে, মাওলানা মুয়াজ বিন রুহু এই সকলে এরা সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং খুনী হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনের আমলে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়া এরা বাইরা উঠছে এই তাবলীগের এই বর্তমান সংকটে কারা ইন্দোন যোগাচ্ছে? ভারতের আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই অঞ্চলে ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে দাবায় রাখতে নানা কর্মকাণ্ড চালাইছে আপনারা জানেন এর অংশ হিসেবে তারা নীরবে এবং সুশৃংখলভাবে ইসলামের প্রচার প্রসার এবং দাওয়ার কাজ চালায় যাওয়ার প্রভাবশালী সংগঠন তাবলীগ জামাতের বিভেদ বিরোধ এবং বিবাদ ঘটায় একে দুর্বল করার একটা মিশন হাতে নেয় ওয়ারান্ড টেররের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভারতের প্রেসক্রিপশনের পাশাপাশি আমি ফেসিবাদী সরকারও এই ইসলামপন্থীদের মাঝে বিভেদ বিবাদ বিশৃঙ্খলা তৈরি কইরা নিজেদের ক্ষমতাকে হুমকি মুক্ত রাখতে বাংলাদেশের তাবলীগের সংকট সৃষ্টি করে এই সংকটকে জিয়ায় রাখার কৌশল গ্রহণ করে অথচ আপনারা যদি ইতিহাস দেখেন দেখবেন তাবলীগ জামাতের কার্যক্রম প্রচলনের শুরু থেকে ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত তাদের মাঝে কোন মতাদর্শগত বিভেদ কোন বিবাদ কোন বিসৃঙ্খলা ছিল না।
২০১৬ সালের পর থেকে এই বিভেদ শুরু হয় এবং এরপর থেকে ভারতের প্রেসক্রিপশন আর আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব শক্তি কে এই বিভেদ তৈরিতে নিযুক্ত করে আর বর্তমানে ফ্যাসিবাদের পতনের পরে তাবলীগের সংকট আরো গভীর হয়েছে কেমনে? কারণ এইটা হইতেছে তাবলীগ লিগ আসেন আমরা তাবলীগ লিগটা দেখি কারা কারা এই তাবলীগ লিগ? আমি ফাঁসিবাদী সরকারের পতনের পর বিচারক লীগ আন্সার লীগ গার্মেন্টস লীগ রিকশা লীক ছাত্র লীগ ইস্কন লীগ এগুলোর মাধ্যমে বিপ্লব এবং আন্দোলন কে নস্যাৎ করা এবং অন্তরবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার দেশবিরোধী নানা চক্রান্তের মতোই ভারতের মদদপুষ্টো আওয়ামী ফেচিবাদীরা তাবলীগের এতাতি গোষ্ঠী কে দিয়া একটা বড়ো গোলোযোগের চেষ্টা করতেছে এই এতাতি খুব একটা অতি ক্ষুদ্র অংশ অথচ এদের শক্তি কে ফুলায়ে ফাঁপায় বড়ো করে দেখানোর চেষ্টা করা হয় মাহফুজ আনামের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সূত্রে ডেলিস্টার এবং প্রথম আলো এই সংকটের শুরু থেকে এতাতিদের পক্ষে নিয়ে তাদের অনুকূলে প্রচুর নিউজ প্রচার করে এবং ইন্দোন জোগায় আসে। তাবলীগের এততিদের পক্ষে প্রথম আলো লিখে আর এটা আপনারা গুগলে সার্চ দিলেও পাবেন আমি আর বিস্তারিত গেলাম না মজার বিষয় হচ্ছে প্রথম আলো ডেলিস্টার কালের কন্ঠ বাংলাদেশ প্রতিদিন যুগান্তর কালবেলা এই সমস্ত পত্রিকা
আলেম ওলামাদের সংবাদে প্রকাশ বড় বড় এরা গেলেও ২০১৭ সালে তাবলীগের চলমান সংকটের শুরু থেকেই এতাতে গ্রুপের পক্ষ নিয়া আর নানা ইন্টারনেস্টিং নিউজ করে আসতেছে এখন এই মুহূর্তে তাবলীগের ২ গ্রুপের বিভেদ কোন পর্যায়ে আছে এইটা আমার দর্শকদের একটু জানা থাকা দরকার
আমি যতটুকু অনুসন্ধান কইরা পাইছি সেটার ভিত্তিতে আমি বলতেছি আপনারা বাস্তবতার সাথে মিলায়ে দেখবেন তাবলীগ জামাতের ২ পক্ষের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে যে জায়গা ঠেকছে
এতে করে ২ পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা আর সম্ভব ৯ কারণ ১ পক্ষে যারা নেতৃত্বে আছেন তারা হইতেছেন মূল ধারার আলেম সমাজ এবং অন্যপক্ষের নেতৃত্বে যারা আছেন তারা হইলেন আউমিপন্থী জেনারেল শিক্ষিত এই আউমিপন্থী অংশকে নিঃস্বার্থ সমর্থন জোগাচ্ছে প্রথম আলো ডেলিস্টার সহ ভারতবন্ধন মিডিয়াসমূহ কারণ সাধারণ মুসল্লি এদের সাথে নাই বললেই চলে এদেরকে জিয়াই রাখছে প্রথম আলো ডেলিস্টারসহ ভারতপন্থী মিডিয়াগুলা আসেন এবার এই এতাতি নেতা একজন সৈয়দ কাজী হাসানকে দেখি আসেন তার কিছু ছবি দেখি দেখেছেন হাসিনার সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্ম চিন্তা নামে বই ও লিখছে দেখেছেন সাতক্ষীরার ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জমা দিতেছে দেখেন এতাতিদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনন্ত জলিলও আছে অনন্ত জলিল মাঝে মাঝে দেখেন না ধর্ম নিয়ে চিক্কর পারে ? ক্যান এইযে এই ইতাতিদের সাথে আছে অনন্ত জলিলের দেইখা আবার অনেকে গইলা যায় কারণ জালিয়াতি আর প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ।
তার প্রতারণার বিরুদ্ধে ঢাকায় মানববন্ধন পর্যন্ত হইছে। হাসান এই আওয়ামী লীগের ধর্মীয় বিষয়ে উপক্রমেটির সদস্য সাতক্ষীরা জেলার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হইতেছে এই হাসান। ওর তো এখন জেলে থাকার কথা আমার প্রথম আলো তারে কেমনে প্রমোট করে দেখেন জামিন পাইছে এটা মামলায় সেটাও এত্তো বড় নিউজ করিছে আরে আশ্চর্য ব্যাপার দেখেছেন কারো জামিন পাইলে এত্তো বড় নিউজ করে না জানি ওই একটা কোন বড় একটা তালে বয়েসে গেছে এখন দেখেন প্রাইভেট যায়গায় বাসার মধ্যে ছবি তুইলা খাতির করে হাসনাত সার্জিস, আসিফ, আসিফ কি খুশি ছবি তুইলা দেখছেন এমন কি আসিফ নজরুলের সাথে ঘনিষ্ঠতা দেখেন এখন কইতে পারেন আপনারা রাজনৈতিক নেতা হইসেন পরিচিত ফিগার হইসেন পাবলিক ফিগার হইসেন আপনার সাথে তো পাবলিক এসে ছবি তোলে আরে ভাই এটাতো প্রাইভেট প্লেসে বাসার মধ্যে ছবি। এভাবে প্রাইভেট এ ছবি তোলার আগে তো তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা যায় যে লোকটা কে। এখন দেখেন আমি নেতার সাথে দেখেন ফজলে নূর তাপসের সাথে সাকিব আল হাসানের সাথে হাসান আলীদের সাথে এমনকি মইরা গেছে যে নাসিমুর অর লগে কি মাখামাখি সুতরাং এই যে বিবাদে যদি দেশ বরণ্য গ্রহণযোগ্য আলেম ও দায়িত্বশীল বর্গ আগায় আসে এই ২ পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ সফল হবে এটা কখনো আশা করা যায় না।
কারণ এটা তো বুঝলেন যে এই বিভিন্ন বিবারটা চাপায় দেওয়া আধিপত্যবাদী হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই বিবেকটা চাপায় দিছে এখন এই পর্যায়ে কি করা যায় এটা একটা সলিউশন তো করতে হবে। ভাই আমি তো ডাইরেক্ট অ্যাকশনের লোক এই হাসান কে থার্ড ডিগ্রী দেওয়া উচিত এক্ষুণি তারে তো হাসিনাই ধরেছিল ওই মামলায় আজকেই ওরা প্যাকেট করেন এই ভিডিও যাওয়ার পরে যারা বিভ্রান্ত ছিলেন সাধারণ মুসলমান সমাজ তারা সইরে যাবে এই ইত্যাদি যাদের পিছন থেইকা অনেক বিষয় ক্লিয়ার হয়ে যাবে এখনই সময় ইন্ডিয়ান ষড়যন্ত্রকে প্যাকেট করে দেওয়া পুরাপুরি কারণ আমাদের তো তাবলীগকে রক্ষা করতে হবে আমাদের সেই আগের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে এর বাইরে যদি ডাইরেক্ট একশনে না যান তারও পথ আছে সরকার গ্রহণযোগ্য আলেমদেরকে নিয়ে একটা উদ্যোগ নিতে পারে।
সেই ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে গ্রহণযোগ্য এবং তাবলীগের বাইরের আলেমদের কে সম্পৃক্ত কইরা মতামত বা পরামর্শ চাওয়া যাইতে পারে এবং তাদের মাধ্যমে পাওয়ার প্রস্তাবনা দিয়া সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া যাইতে পারে যেই মুরুব্বীদের নিয়া এই উদ্যোগ নেওয়া যাইতে পারে আমি কয়েকটা নাম বলি আর দেখেন এইটা আরো কিছু যুক্ত করতেও পারেন কিন্তু আমি কয়েক জনের নাম বলতেছি ১ নাম্বার ১ ধর্ম উপদেশটাতো থাকবেই এখানে হ্যাঁ ডক্টর মওলানা খালেদ হোসেন উনি থাকবেন। ২ নম্বর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ক্ষতিব মোফতিi আব্দুল মালিক উনিও থাকবেন সর্বোচ্চ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মোফতি মাহমুদুল হাসান উনিও থাকবেন আর দেশের প্রাচীন বৃহৎ মাদ্রাসা হিসেবে সমাদৃত হাটহাজারী মাদ্রাসায় পরিচালক এবং পটিয়া মাদ্রাসায় পরিচালক উনারা থাকখবেন ইসলামি ফাউন্ডেশনের গবর্নর এবং বোর্ড অফ গবর্ণর্সের সদস্যবিদ্ধ থাকবেন তবে এখানে আমি একটা জিনিস একটু বলে রাখি কিছু মনে কইরেন না আমি কিন্তু আমি যে বিষয়টা বলে রাখতেছি এটা সতর্কতা হিসাবে। যেমন ধরেন যদি এটা সত্যিকার অর্থে সমাধান করতে চাই তাহলে জাতীয় স্তরে সুপরিচিত গ্রহণযোগ্য ইসলাম ব্যতীত আলেম ওলামা বাছাই করার সময় কয়েকটা বিষয় একটু খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন ধরেন আহলি হাদীস মতামত পন্থী মাজার পন্থী বা জামাত ইসলামিক ঘরনার কাউকে রাখাটা ফলকপোষু হবে না এই জন্য না যে আমি উনাদের মহব্বত করি না সেই জন্যে উনাদের বাইরে রাখতে বলছি কারণ এই ৩ মতদর্শের লোকজন তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমকে পছন্দ করেন না তাই এইটা এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কার্যকর সমাধানের ক্ষেত্রে আন্তরিকতা দেখাইতে পারবেন বা তাদের ইম্পরট্যান্ট কাজে লাগবে এইটা আমার সন্দেহ আছে উনারা বাইরে থাকলেই ভালো । সংকটের সমাধান কি কিভাবে হইতে পারে সেটা মুরুব্বীরা আলাপ করবেন আমি এটা রাস্তা বাদলায় দিতে পারি যেভাবে হইতে পারে আরকি দেখেন শুইনা দেখেন ভালো লাগলে নেবেন না লাগলে ফেলে দিবেন কোন অসুবিধা নাই আসেন সেটা কি হইতে পারে সেটা দেখি যেহেতু আমরা আগে দেখছি যে ২ পক্ষকে ১ করা অসম্ভব। সুতরাং এর স্থায়ী সমাধান করতে হলে বিশেষভাবে কেন্দ্রীয় মার্কাজ মসজিদ এবং ইস্তেমা মার্ঠ পৃথক করার উপরে দুইটা পদক্ষেপ নিতে হবে।
১ নাম্বার কাঁকরাইলল মসজিদ যেটা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ওলামায়ে কেরাম তার নেতৃতাদিন পক্ষকে কেন্দ্রীয় কার্যক্রম চালানোর জন্য সম্পূর্ণভাবে ছাইড়া দিতে হবে রাজধানী ডাকা পৃথক অন্য একটা মসজিদকে নির্বাচন কইরা সাদ পন্তিদেরকে তাদেরকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক করে দেওয়া যাইতে পারে ২ নাম্বার টঙ্গীতে যে বাৎসরিক বিশ্ব ইজতেমা এর আয়োজনের পাশাপাশি বা লাগওয়া সময় ভাগাভাগি না কইরা ন্যূনতম এক বা ১.৫ মাসের বিরতি দিয়া উভয় গ্রুপের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যাইতে পারে সব তবে সবচেয়ে ভালো হয় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ ওলামায়ে কেরাম এর নেত্রিত্তাদিন পক্ষকে ছেড়ে দেয়া সাদ পন্থি দের জন্য আলাদা ইজতেমা ময়দান নির্ধারণ করে দেওয়া এইটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই দুইটা সিদ্ধান্ত যদি নেওয়া যায় আশা করা যায় তাবলীগ নিয়ে ২ গ্রুপের চলমান সংকট মোটা দাগে সমাধান হয়ে যাবে তারপরে যতদিন যাবে আস্তে আস্তে আস্তে এই বিষয়টা সেটেল হইয়া যাবে কারণ ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ে এই ২ গ্রুপের মার্কাজ মসজিদ কিন্তু আলাদা করা হয়ে গেছে এবং যে কারণে জেলা পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা তেমন কোনো খবর পাওয়া যায় না এটা কিন্তু মোটামুটি জেলা পর্যায়ে সিতল কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এসে সেটেল হয় নাই, তাই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এই পদক্ষেপগুলো নিলে এটা সেটেল হয়ে যাবে।
আমি আশা করি রাজধানীতে দুইটা জিনিস কেন্দ্রীয় মার্কাস মসজিদ এবং এস্তেমার মাঠ এটা যদি প্রযুক্তি করা না যায় তাহলে তাবলীগের চলমান সমস্যার সমাধান আসবে না হবে না বরং এটাকে পুঁজি কইরা বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানীরা উভয়ই গ্রুপকে নানাভাবে প্ররোচিত করে সমস্যাকে জিয়াই রাখবে বা আরো প্রকট করতে চাইতে পারে পাবলিকের উপরে যে কালো ছায়া নামছে ভারতে পরিকল্পনায় তা আমাদের দূর করতে হবে আমাদের হারানো ঐক্যের ঐতিহ্যপূর্ণ উদ্ধার করতে হবে আর এটা করা খুবই সম্ভব আপনারা জানেন সমস্যা কোথায় সমস্যার উৎস যদি চিহ্নিত করা যায় তাইলে সমাধান করলে অর্ধেক হইয়া যায় আমার মনে হয় আমি সমস্যাকে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ দেখায় দিতে পারছি এখন বাকি কাজটা মুরুব্বীরা যদি শুরু করেন তাইলে দেশের একটা বড় সমস্যার সমাধান হইয়া যায় এবং আমরা কয়লে আপনাদের দিকে তাকায়া আছি সারাদেশের মানুষ তাকায় আছে সমস্যাটা মেহেরবানী কইরা মুরুব্বীরা আপনারা সমাধান কইরা ফেলেন আমাদেরকে স্বস্তি দেন দেশবাসীকে স্বস্তি দেন এবং ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধান করেন এবং ভারতের এই শয়তানি প্রকল্প রুখে দেন দেশবাসী আপনাদের পাশে থাকবে ইনক্লাব জিন্দাবাদ.
সোর্স পিনাকি ভট্টাচার্য